Panchayat Election : ২২ নেতার দায়িত্বে প্রার্থী বাছতে ভোট, নয়া কমিটির সঙ্গে আজ বৈঠকে অভিষেক – trinamool formed a special team of 22 members to select candidates for the panchayat elections


গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই করতে সুব্রত বক্সীকে চেয়ারম্যান করে ২২ সদস্যের বিশেষ ‘ইলেকশন কমিটি’ গঠন করল তৃণমূল। যে কমিটিতে ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়াদের মতো পোড়খাওয়া নেতারা রয়েছেন। জেলায় জেলায় গোপন ব্যালটে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এই কমিটির তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য।

Avishek Banerjee : গ্রামের ‘ক্যাম্পে’ থাকবেন অভিষেক
কী ভাবে এই ইলেকশন কমিটি প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে আজ, সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটির কোন কোন সদস্যকে কোন কোন সাংগঠনিক জেলায় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এই বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। ইলেকশন কমিটিতে সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ, মানস ছাড়াও আছেন স্বপন দেবনাথ, মালা রায়, দোলা সেন, শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বুলু চিকবরাইক, নাদিমুল হক, প্রতিমা মণ্ডল, হুমায়ুন কবীর-সহ অন্য নেতারা।

Panchayat Election : পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইতে তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’, ২ মাস পথে অভিষেক
আজকের বৈঠকের পর রাতে দিনহাটা পৌঁছবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। অন্যতম এক সদস্যের কথায়, ‘প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট পরিচালনার কাজ করবে এই কমিটি। সমস্ত জেলায় ভোট-পর্ব মিটে গেলে গোপন ব্যালটে নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম এই কমিটির কাছে পৌঁছবে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে হাজার হাজার প্রার্থী বাছাই করতে হয়।

Abhishek Banerjee : তৈরি তাঁবু, হেলিকপ্টারের মহড়া শেষ! অভিষেকের সফর ঘিরে কোচবিহারে সাজো সাজো রব
তাই অভিজ্ঞ, প্রবীণের সঙ্গেই নবীন নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি। অভিজ্ঞ মন্ত্রী, সাংসদ, সাংগঠনিক নেতৃত্ব, শাখা সংগঠনের নেতা-সহ দলের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এতে।’ দলের প্রার্থী বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়াকে ‘অভিনব’ বলে উল্লেখ করে রবিবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের প্রার্থী মানুষের ভিতর থেকেই বেছে নেওয়া হবে।

Abhishek Banerjee : আসন কম, তবুও সিপিএম জাতীয় দল?
ভারতের সমকালীন রাজনীতিতে এটা অভিনব ও বৃহত্তম কর্মসূচি। কোথাও যদি কয়েকজন কোনও ভুল-অন্যায় করেও থাকেন, তা সংশোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে কাজ করবে উন্নতর তৃণমূল।’ ইলেকশন কমিটির একাধিক সদস্যের পর্যবেক্ষণ – প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ভোটগ্রহণ পর্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে একাধিক নেতাকে। তাই ২২ জন নেতাকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গোটা রাজ্যকে আটটি জোনে ভাগ করে পৃথক জোনাল ইলেকশন কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা থাকবেন ভোট গ্রহণের খুঁটিনাটি বিষয়গুলির দায়িত্বে।

Firhad Hakim : বামেদের সমর্থনের ‘খেসারত’ দিতে হবে: সিউড়িতে ববি
কমিটির আর এক সদস্যের কথায়, ‘এই কর্মসূচি ঘোষণার সময়ে অভিষেক জানিয়েছেন – ‘গ্রাম বাংলার মতামত’ অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের একেবারে বুথ স্তর থেকে নেতৃত্ব উপস্থিতি থাকবেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। ফলে অধিবেশনে বেশ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এঁদের সকলেই যদি গোপন ব্যালটে ভোট দেন, তা হলে সেই কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে অন্তত চার-পাঁচ জন নেতাকে থাকতে হবে। সে কারণে প্রতিটি ভোটগ্রহণ পর্বের দায়িত্ব ইলেকশন কমিটির একাধিক সদস্যকে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

TMC Conflict : কমিটি ঘোষণা নিয়ে ব্লক সভাপতি-বিধায়কের কোন্দল, বড়জোড়ায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার প্রার্থীপদ রয়েছে। নিচুতলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটাভুটির ভিত্তিতে এই বিপুল সংখ্যায় প্রার্থী নির্বাচন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কাজ বলে ইলেকশন কমিটির একাধিক সদস্যের পর্যবেক্ষণ। ব্যালট পেপারের অবয়ব, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি, ভোটদাতারা কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন, গণনা সঙ্গে সঙ্গে হবে নাকি পরে হবে – এমন একাধিক প্রশ্নের উত্তর আজ অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে পাওয়া যাবে বলে কমিটির সদস্যরা মনে করছেন।

Mamata Banerjee : রাজ্যে ফিরে ভোটটা দিন, বার্তা মমতার
কাল, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, দিনহাটা থেকে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা শুরু হচ্ছে। কোচবিহার জেলায় প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব কোন কোন নেতাকে দেওয়া হবে, তা-ও আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পরবর্তী ভোট-পর্বের দায়িত্ব একটি রস্টার হিসেবে ইলেকশন কমিটির সদস্যদের হাতে দেওয়া হতে পারে। কমিটির প্রবীণ এক সদস্যের কথায়, ‘মন্ত্রীদের পাশাপাশি মেয়রেরও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ থাকে। তাঁদের সেই দায়িত্ব সামলে ইলেকশন কমিটির দলীয় কাজ করতে হবে। যে নেতারা সাংসদ, সাংগঠনিক পদে রয়েছেন, তাঁদের বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *