এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল বহুদূর গড়িয়েছে। আদালতে অর্পিতা জানিয়েছিলেন, ওই অর্থ তাঁর নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরও বক্তব্য ছিল, এই অর্থের সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগাযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, এই বিপুল ধনরাশি কার?
Partha Chatterjee: ‘অন্ধকার গুহা’য় ফেরার পথে রমজানের শুভেচ্ছা
সোমবার আদালত থেকে বার হওয়ার মুখে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীপার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি এদিন বলেন, “খুঁজে বার করুন।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এর আগেও বহুবার তাঁকে এই অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু, কোনও উত্তর দেননি তিনি। সেদিক থেকে তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। তাঁর কথায়, “মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। প্রতিটি সংস্থা বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। এখানে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই আইনগতভাবে। নিয়োগকর্তাও মন্ত্রী নেই।”
তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয়, যদি দোষী প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়ে তাঁর কী মতামত? কিছুটা শ্লেষের সুুর শোনা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “এক বছরে কিছু হল না…”। উল্লেখ্য, গত ভার্চুয়াল শুনানিতেপার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। বিচারাধীন বন্দি হিসেবে কী ভাবে তিনি অলংকার ধারণ করতে পারেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন ED-র আইনজীবী।
বিষয়টি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জেলে আংটি পরে থাকতে নেই, এই বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। এই নিয়মের বিষয়ে তিনি জানতেন না। আংটিগুলি সোনার নয়। শরীর সুস্থ যাতে থাকে সেই জন্যই তা তিনি ধারণ করেছিলেন। এরপরেই সংশোধনাগারের সুপারকে তলব করেছিল আদালত।
সোমবারপার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে তোলার সময় তাঁর হাতে কোনও আংটি দেখা যায়নি। এই বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন ফের তিনি একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, আংটি নিয়ে নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ।