রণয় তেওয়ারি: ইডেনে কেকেআর ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্দুকের ছবি দিয়ে একটি ট্যুইট ভাইরাল হয়েছিল। সেই পোস্ট দেখে আতঙ্কিত মানুষজন ট্যাগ করেন কলকাতা পুলিসকে। তড়িঘড়়ি তদন্তে নামে কলকাতার পুলিস সাইবার ক্রাইম শাখা। তদন্তে উঠে এসেছে ওই পোস্টটি করেছিল কেকেআর এর এক কট্টর ফ্যান। তাকে জেরা করে বেরিয়ে আসে আজব তথ্য।
আরও পড়ুন-মোদি পদবি মামলা, সাজা থেকে বাঁচতে এবার হাইকোর্টে রাহুল
কেকেআর ওই ওই ফ্যান যে পোস্টটি করেছিলেন সেটিতে ছিল কয়েকটি আগ্নেয় অস্ত্রের ছবি। সঙ্গে হুমিক। সেই পোস্টের খোঁজ করতে গিয়ে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা দেখতে পায় ওই পোস্টটি যে মোবাইল নম্বর থেকে করা হয়েছে সেটি বিহারের দ্বারভাঙ্গার। নম্বরটি ব্যবহার করেন এক শিক্ষক। তাকে জেরা করে জানা যায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সড়গড়় নন, ওই পোস্ট তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে। সে হয়তো কিছু করতে পারে।
ওই তথ্য পেয়েই পুলিস ওই শিক্ষকের ছেলেকে জেরা শুরু করে। তখন সে ওই পোস্ট করার কথা সে স্বীকার করে নেয়। কিন্তু কেন এমন পোস্ট? বছর সতেরোর ওই কিশোর জানায়, দু’বছর আগে, অর্থাৎ ২০২১ সালে, আইপিএল-এর ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারায় চেন্নাই সুপার কিংস। সেই হার সে মেনে নিতে পারেনি। তখনই সে ঠিক করে কোনও পোস্ট করে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে। তারপরেই ওই পোস্ট করে দেয় সে।
গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় ওই কিশোর। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলটিও ডিলিট করে দেয়। সবকিছু জানার পরে দ্বারভাঙ্গার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। তবে তার বাবার ওই মোবইলটি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি মাসে ওই শিক্ষককে লালবাজারে এসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।