Dakshin 24 Pargana : ভুটভুটিতে বোঝাই সারি সারি বস্তা, খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের – one twenty five bags of rupees 2500 coin detained in diamond harbor


West Bengal News : ভুটভুটি বোঝাই সারি সারি বস্তা ভর্তি কয়েন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল এলাকায়। সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন কয়েনের বস্তা দেখতে। এমনকি কয়েনের বস্তা নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আটকে রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। কারণ এত বস্তা ভর্তি কয়েন কোথা থেকে এলো প্রশ্নটা ছিল সবার মনে।

তাই রহস্যভেদ করতেই বস্তা ভর্তি কয়েনের ভুটভুটি আটকে পুলিশকে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। আর সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার পর মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রহস্য ভেদ করলেন ডায়মন্ড হারবারের SDPO মিতুন কুমার দে।

Anganwadi Centre : টোটোয় করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল চুরি! সহায়িকাকে হাতেনাতে পাকড়াও গ্রামবাসীদের
তিনি বলেন, “হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিং ইটের ব্যবসা করতেন। সেই মতোই তার সঙ্গে নামখানা এলাকার লালপোলের বাসিন্দা নিউ লোকনাথ বিল্ডার্সের প্রোপাইটার রাধাকৃষ্ণ মান্নার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। এমনকি ব্যবসায়িক লেনদেনে রাধাকৃষ্ণ মান্নার কাছে তিনি ৩ লাখেরও বেশি টাকা পেতেন। তাই ধার পরিশোধ করতে রাধাকৃষ্ণ মান্না ১ টাকার কয়েন ভর্তি ১২৫ বস্তা বিশ্বজিৎ সিংকে গত ২৩ এপ্রিল রবিবার প্রদান করেন।”

Uttar 24 Pargana : তেল মাখানো কলা গাছে উঠতে পারলেই কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট! সেই খেলা আজও
এমনকি প্রতিটি বস্তায় ২.৫ হাজার টাকা করে কয়েন ছিল বলে জানান তিনি। এবং এই টাকা নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এলাকার এক ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছিল যে ঠিকাদারের কাছে টাকা পেতেন রাধা কৃষ্ণ মান্না। সেই ঠিকাদার খুচরো এক টাকার কয়েন দিয়ে রাধাকৃষ্ণ মান্নার টাকা পরিশোধ করলে সেই টাকা রাধাকৃষ্ণ মান্না বিশ্বজিৎ সিং কে পরিশোধ করেন।

সেই মর্মে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত দেওয়া হয়। এর পরেই বিশ্বজিৎ সিং সেই বস্তাভর্তি কয়েনগুলি নিয়ে যখন নৈনান ঘাট থেকে ভুটভুটি চেপে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন সেইসময়ই এলাকার বাসিন্দারা এত টাকা দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। রামনগর থানার পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।

North 24 Parganas : ‘রানার’-এর ঝুলিতে নিষিদ্ধ ওষুধ! বসিরহাটে ফেনিসিডিল পাচার করতে গিয়ে ধৃত পিওন
পরে রামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেবিশ্বজিৎ সিং কে টাকাসহ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেন। অবশ্য এই খুচরো টাকার পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন কুমার দে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

এত টাকা তাও আবার কয়েনে কেউ কিভাবে নিয়ে যাত্রা করতে পারেন, এই প্রশ্নই উঁকি মারছে সকলের মনে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *