জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মানুষের একটি মৃতদেহকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া ও সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের পাঠানো রিপোর্টে এই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে।\
এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন বজরঙ্গ দল ও আরএসএসের প্রাক্তন নেতা। মধ্য প্রদেশে বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় মহিলা কমিশনেও বিজেপি নেত্রীদের স্থান দেওয়া হয়েছিল। বাংলার থেকে বড় ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যে ঘটলে সেখানে কোনও কেন্দ্রীয় দল যায় না। তবে বাংলাতে সামান্য ঘটনা ঘটলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে টিম পাঠানো হয়। বিগত ২ বছরে বাংলায় ১৫১টি টিম এসেছে। এইসব কমিশন বিজেপি তল্পি বাহকতার কাজ করে।”
অন্যদিকে এদিন ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ।ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এদিন রাস্তায় নামে তফসিলি, রাজবংশী আদিবাসী সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটি। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই পুলিশের দিকে ঢিল, ইট ছোড়া হতে থাকে। এমনকী পথ চলতি মানুষ ও সংবাধ্যমের দিকেও ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। শেষমেশ আন্দোলনকারীরা কালিয়াগঞ্জ থানাক একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকী থানার একটি পাঁচিল ও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।