Kolkata News : ‘ও আমার মেয়ে’, পচা দেহ দেখিয়ে বললেন মা – police recovered a rotten body of a girl from a house in kolkata


এই সময়:দরজার আইহোলে চোখ রেখে পুলিশ দেখল, ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার দিকে মুখ করে খাটের উপরে বসে বছর আটষট্টির বৃদ্ধা। পিছনে শুয়ে বছর আটত্রিশের এক যুবতী। ডজনখানেক বার কলিং বেল বাজানোর পরে কোনওক্রমে খাট থেকে নেমে দরজাটা খুলে দিয়ে ঘরের মেঝেতেই বসে পড়েন বৃদ্ধা। খাটে ফিরে যাওয়ার ক্ষমতাটুকুও নেই। ফ্ল্যাটে ঢুকেই পুলিশের নাকে আসে দুর্গন্ধ।

Cooch Behar News : ঘর থেকে বের হচ্ছিল পচা দুর্গন্ধ, কোচবিহারে উদ্ধার নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার মৃতদেহ
বিছানায় পড়ে থাকা যুবতীর দেহ দেখেই পুলিশ বুঝতে পারে, শরীরে প্রাণ নেই। দেহে পচন ধরেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অন্তত দিনচারেক আগে মৃত্যু হতে পারে যুবতীর। দেহ ফুলে উঠতেও শুরু করেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে যাদবপুর থানার পুলিশ। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে যাদবপুরের বিজয়গড় কলোনির দশ নম্বর ওয়ার্ডে।

Hooghly News : ভাড়া বাড়িতে দম্পতির রহস্য মৃত্যু! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
পুলিশ জানিয়েছে, শীর্ণকায় ও রুগ্‌ণ শরীরে ঠিকমতো কথা বলারও ক্ষমতা নেই বৃদ্ধার। তবুও পুলিশ আধিকারিকরা বারপাঁচেক জিজ্ঞেস করার পরে অস্ফুটে উত্তর দিয়েছেন, ‘ও আমার মেয়ে।’ অর্থাৎ অন্তত চারদিন মৃত মেয়ের দেহ আগলে বসে ছিলেন মা! পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্চিতা বসু (৩৮)। তাঁর মায়ের নাম দীপালি বসু। দীপালির স্বামী সত্যব্রত মারা যান বছর তিনেক আগে।

Birbhum News : ১১ বছরের ভাইঝিকে তারপীঠে লুকিয়ে রাখল পিসি, বলি দিয়ে মোক্ষলাভই উদ্দেশ্য? খতিয়ে দেখছে পুলিশ
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মা আর মেয়ে নিজেদের মতোই থাকতেন। কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। ফ্ল্যাটের দরজাও খুব একটা খুলতেন না। প্রতিবেশী লালু সরকার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে মা আর মেয়েকে বারান্দা থেকে রাস্তার দিকে তাকাতেন। কিন্তু গত দিনসাতেকে একবারও দেখিনি।’ বৃদ্ধাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

সোমবার দুপুরে স্থানীয় হোম ডেলিভারি সংস্থার ডেলিভারি বয় বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ের জন্য খাবার এনেছিলেন। তিনি বহুবার কলিং বেল বাজালেও কেউ দরজা খোলেননি। তিনি পচা গন্ধও পান। তিনিই ফোন করেন পুলিশকে। ওই ডেলিভারি বয় পুলিশকে জানিয়েছেন, অন্য দিন বেল বাজানোর অনেক পরে মা বা মেয়ে কেউ দরজার ফাঁক দিয়ে মুখ বের করে ফ্ল্যাটের সামনে খাবার রেখে যেতে বলতেন। কিন্তু সোমবার তা-ও কেউ করেননি। পচা গন্ধে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশকে ফোন করেন।

Bankura Murder : ত্রিকোণ প্রেমের বলি! ইদের আগে বাঁকুড়ার কিশোরের গলা কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিজয়গড় সংলগ্ন এলাকায় বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ের কোনও পরিচিত ব্যক্তি বা আত্মীয় রয়েছেন। তিনিই মাঝেমধ্যে হোম ডেলিভারিতে মা ও মেয়ের জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বসু পরিবার বছর দশেক ধরে বিজয়গড়ের এই ফ্ল্যাটে বসবাস করছে। তাঁরা আগে বেহালার পর্ণশ্রী সংলগ্ন এলাকায় থাকতেন তাঁরা।

South 24 Parganas : আমতলা অটোস্ট্যান্ডের কাছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার , আতঙ্ক এলাকায়
পরিবারের কর্তা সত্যব্রত চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে আর্থিক সঙ্কটে পড়েন মা ও মেয়ে। ওই সূত্রের দাবি, শেষমেশ সেই সঙ্কট এমন হয় যে, সপ্তাহে একদিন খাবার জুটলে তিন দিন হয়তো জুটতই না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *