মালদা জেলার কালিয়াচক থানার আকুন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর গ্রাম এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় একটি সবজির জমি থেকে নাবালিকার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয়রা প্রথমে দেহটি লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াচক থানার পুলিশ। যুবতীর আনুমানিক বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। স্থানীয়রা সকালে প্রথমে যুবতীর দেহ চাষের জমিতে দেখতে পায়। তবে ওই নাবালিকা এলাকার নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইরে থেকে দেহটি ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মত তাঁদের।
গ্রামের স্থানীয়দের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মেয়েটিকে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কে বা কারা তাঁকে বাইরে থেকে নিয়ে এসে এখানে গণধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলেই ধারণা স্থানীয় গ্রামবাসীদের।
পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আকুন্দবাড়িয়া এলাকায় একটি নদীর সীমানায় সবজি চাষের জমিতে এই দেহটি পড়েছিল। এরকম নৃশংস ঘটনায় আমরা সকলেই আতঙ্কিত। আমরা দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজন হলে এই ঘটনায় সিবিআই বা সিআইডি তদন্ত দাবি করছি।”
মেয়েটির পরিচয় ও বাসস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই ঘটনাস্থলে জড়ো হয় আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। তবে কেউই ওই দেহটি দেখে চিনতে পারেননি। বাইরে থেকে রাতের অন্ধকারে দেহটি এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে একটি পুকুরের ধার থেকে একটি কিশোরীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় চূড়ান্ত সমালোচনা করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনও।