এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা এসে সেটিকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীদের অনেকে এর আগে গাগরোলটিকে সেখানে যাতায়াত করতে দেখেছেন। তবে আজ সেটিকে গাছে উঠতে দেখে সকলে ভয় পেয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময় বাউরি বলেন, “একটি গাগরোল বেরিয়েছে। সেটিকে গাছ বেয়ে উঠতে দেখে অনেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। পরবর্তীকালে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে এটিকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে গিয়েছে।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এটি এখানে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরা ফেরা করত। তবে এই গাগরোলটিকে আগে গাছে উঠতে দেখিনি। সম্ভবত শিয়ালে এটিকে তাড়া করেছিল। সেই কারণে ভয়ে এটি গাছে উঠে পড়েছে। বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।”
বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী মলয় ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “এরা কোনও ক্ষতিকর প্রাণী নয়। বরং বিষাক্ত সাপ খেয়ে মানুষকে সাহায্য করে। সাধারণ মানুষের এই প্রাণী থেকে কোনও ধরনের বিপদ নেই। সেই কারণে ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।”
উল্লেখ্য,দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি চলতি মাসেই নদী থেকে একটি বিশাল আকৃতির কুমির দেখতেপেয়েছেন স্থানীয়রা। মনি নদীতে কুমির দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। রায়দিঘির জেটিঘাট এলাকায় কুমির দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বন দফতর যদি কুমিরগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে না যায়, তবে তাঁরা রাতে শান্তিতে এলাকায় থাকতে পারবেন না