Purba Medinipur TMC : ফের শাসক দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্টার তমলুকে – poster against tmc councillor in tamralipta municipality


West Bengal News : ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে শাসকদলের অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঘনিষ্ঠ মহলে অনেক শীর্ষ নেতাকেই অনুযোগ করতে দেখা যায় যে রাজ্যে বিরোধীদের নিয়ে যত না চিন্তা রয়েছে, তার থেকে তৃণমূলের বেশি চিন্তা রয়েছে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে। আর এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ এসে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। তাম্রলিপ্ত পুর এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।

Maoist Poster : খড়দা স্টেশন এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার! সরকার বদলের ডাক
আর BJP-র অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই পোস্টার পড়েছে এলাকায়। যদিও এই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে তমলুক শহরের বিভিন্ন এলাকায় তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তাম্রলিপ্ত পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়া সহ চারজন কাউন্সিলরের নামে পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘মীরজাফর চোর গদ্দারদের হটাও, তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়া, কানাইলাল দাস, বিমল ভৌমিক, গৌতম পাল রা আসলে কোন দলের জবাব চাই জবাব দাও’। এছাড়াও এই পোস্টারে নাম নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাইয়েরও।

TMC Conflict : একই অঞ্চলের দুটি পৃথক কমিটি ঘোষণা, কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে?
লেখা রয়েছে, ‘কোন বিশেষ কারণে লাগাতার শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গোপন বৈঠক’? এছাড়াও আরও একাধিক লেখা রয়েছে। নিচে লেখা রয়েছে, ‘এবার আওয়াজ তুলবে নতুন তৃণমূল’ (ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়)।

এদিকে,তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চঞ্চল খাড়াকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান, বলেন এই বিষয়ে জেলা সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্রর সঙ্গে কথা বলে তারপরেই প্রতিক্রিয়া দেবেন। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি BJP।

TMC Conflict : টাকার বিনিময়ে কমিটিতে ঠাঁই, তৃণমূল জেলা সভাপতি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মালদায়
BJP তমলুক শহর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, “এই বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তার জেরেই এই পোস্টার। এখানে ১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ছ’টি গ্রুপ রয়েছে। তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলররা তমলুক শহরের উন্নয়নের কাজে মন দেন না। চুরি করতেই ব্যস্ত রয়েছেন। BJP-র এই সময় দলের বিশেষ কাজ রয়েছে। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ফেলে আমাদের কোনও লাভ নেই। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের একেবারেই অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

যদিও পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি সুকান্তবাবু।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *