পুরুলিয়া মফস্বল থানার চিরুমাচা গ্রামে আজ ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আজ ভোরে গ্রামের অদূরে ওড়নার ফাঁসে দুই যুবক যুবতীকে ঝুলতে দেখা যায়। তাঁদের ওই ভাবে ঝুলতে দেখে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় । সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। তবে কী ভাবে ওই যুগলের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেম ঘটিত কারণেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে চিরুমাচা গ্রামে একটি গাছের সঙ্গে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে দুজনের দেহ ঝুলতে দেখা যায়। স্থানীয় কিছু পথচারী প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ওই দুই যুগলের পরিবারকেও। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া মফস্বল থানার।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস আগেই পুরুলিয়া মফস্বল থানার রানিবাঁধ গ্রামের কাছে এক প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল প্রেমিক যুগল। তাঁদের সম্পর্ক বাড়ি থেকে মেনে না নেওয়ায় এই পদক্ষেপ বলে খবর পাওয়া যায়৷ আত্মহত্যা করার আগে তাঁরা মন্দিরে পুজো দেন৷ সেখানেই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বলে মনে করা হয়।
কিছুদিন আগেই খড়গ্রাম থানার বরার গ্রামে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সদ্য বিবাহিত প্রেমিক যুগল। মৃতদের নাম ছিল রাজেশ ঘোষ, বয়স ৩০ বছর ও রাখি মণ্ডলের বয়স ২৬ বছর। বোলপুরের বাসিন্দা রাখি মণ্ডলের মামার বাড়ি লাভপুরের দুনাইপুরে৷ আর দুনাইপুরেরই বাসিন্দা রাজেশ ঘোষ।