তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। থানা থেকে পালিয়ে এলাকার স্থানীয়দের বাড়ি আশ্রয় নিলেও সেখানে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ঘরের দেওয়ার ভেঙে ঢুকে লাঠি, রড, পাথর, ইট দিয়ে ব্যাপক মারধর করতে থাকেন পুলিশকর্মীদের। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আহত রক্তাক্ত পুলিশকর্মী মেঝেতে বসে বিক্ষোভকারীদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন। রক্তে ভেসে গিয়েছে তাদের উর্দি।
অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয়দের একটি ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া চার পাঁচজন পুলিশকর্মীকে হাতের কাছে যা পারছেন তাই দিয়ে মারধর করছেন কয়েকজন যুবক। এমনকী পোশাক ছিঁড়ে, প্যান্ট খুলেও মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকী পুলিশকর্মীদের আশ্রয় দেওয়া বাড়িগুলিতেই চলে ভাঙচুর তাণ্ডব। এই দৃশ্যগুলি দেখে শিউরে উঠছেন রাজ্যবাসী। আইনরক্ষকই হামলায় রক্তাক্ত। প্রাণভিক্ষা চাইছেন সাধারণ মানুষের কাছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা মণ্ডলের গলায় এখনও আতঙ্কের রেশ। তিনি জানান, ”গতকাল দুপুরে সবে খেতে বসেছিলাম। দুদ্দাড় করে ছুটে এসে ঘরে ঢুকে পড়ে কয়েকজন পুলিশ। কিছু বলার আগে ভিতরের ঘরে, খাটের নীচে লুকিয়ে যায়। কিন্তু ওদের পিছন পিছন কয়েকজন ঘরে ঢুকে আসে। বেধড়ক মারতে মারতে বার করে নিয়ে যায় কয়েকজনকে।” শুধু মণ্ডল বাড়ি নয়, তাদের পাশের বাড়িতেও খাটের নীচে লুকিয়ে ছিলেন তিনজন পুলিশ কর্মী। তাদের খাটের নীচ থেকে বার করে ঘরে থাকা আলনার রড ভেঙে, কাঠের টুল, বাটনা বাটার শিল তুলে পর্যন্ত মারধর করা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে।
শুধু উর্দিধারীরাই নন, রক্ষা পাননি সিভিক ভলান্টিয়াররাও। রীতিমতো তাড়া করে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সিভিকরাও বিক্ষোভকারীদের রোষ থেকে বাঁচেননি। কিল-চড়-ঘুষি একের পর এক আছড়ে পড়ে তাদের উপরে। আইনরক্ষকদেরই এমন অসহায়তার দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও।