ওই গাড়ি গুলির ওপর আবার নোংরা আবর্জনার স্তূপও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ওই গাড়ি গুলি ঘিরে কৌতুহলের পাশাপাশি আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়ার দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ পথচারীরা।
স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলরও খোঁজ খবর নিয়েছেন এই বিষয়ে। যদিও মালিকের খোঁজ মেলেনি। পাশাপাশি পুলিশেও জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার RTO বিভাগের দাবি, ওই গাড়িগুলি ভিন রাজ্যের কোনও বেসরকারি সংস্থার।
ট্যাক্স ও ফিটনেস ফেল রয়েছে। এবং প্রাথমিকভাবে অনুমান, ট্যাক্স ও ফিটনেস ফেল থাকায় নোংরা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগরের সেক্টর 2C এলাকায় একটি রাস্তার পাশে গাড়ি গুলি দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস ধরে একইভাবে পড়ে রয়েছে। গাড়িগুলি বেশ রংচঙে হওয়ায় পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি কৌতুহল বাড়াচ্ছে।
পথচারী রোহিত মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই তিনটি গাড়ি এখানে একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কার গাড়ি বোঝা যাচ্ছে না। রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এগুলি পুলিশ প্রশাসন দেখলে ভালো হয়।”
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার ছবি নন্দি বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে ওই গাড়িগুলি নিয়ে এলাকায় একটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমি খোঁজ নিয়েছিলাম। কোনও মালিকের হদিশ পাইনি। এই ভাবে গাড়ি ফেলে দিয়ে যাওয়ায় আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আমি পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি।”
জেলার RTO মৃন্ময় মজুমদার বলেন, “গাড়ি গুলির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জি- ট্রান্স লজিস্টিক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার নামে রয়েছে এই গাড়িগুলির রেজিষ্ট্রেশন। ২০১৪ সালে ট্যাক্স ফেল আছে। এবং ২০১৯ এ ফিটনেস ফেল রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, সেই কারণে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। বাকি কারণ পুলিশ খতিয়ে দেখবেন।
ACP (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “আতঙ্কের কিছু নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর গাড়িগুলি ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”