মঙ্গলবার দিনভর উত্তাল ছিল কালিয়াগঞ্জ এলাকা। রাজবংশী ও আদিবাসী সমন্বয় সমিতির বিক্ষোভকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ থানায়, পুলিশের বাইক-গাড়ি ও আবাসনের একটি বাড়িতে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মাঝেই এক টোটো চালকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য। যদিও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো একটি ভিডিয়োতে পুলিশকে গুলি চালাতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এইসময় ডিজিটাল।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে দাবি, হামলাকারীদের রুখতে রবারের গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তাতে এভাবে ওই টোটোচালকের আহতক হওয়ার কথা নয় বলে দাবি। তবে গোটা ঘটনায় নতুন করে বির্তক শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উন্মত্ত জনতার হাতে পুলিশের মার খাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেও ছড়ায় শোরগোল। লাঠি, টুল, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে সাধারণের কাছে করজোড়ে আশ্রয় চান আইনরক্ষকেরা। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘরে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে বার করে ব্যাপক মারধর করা হয় পুলিশকে। হাতজোড় করে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও মেলেনি রেহাই। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল না দেখে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি এর সঙ্গে কথা বলে থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্রুত কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। এমনকী ডিজি ও মুখ্যসচিবকে আলাদা আলাদা রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।