পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ জনতার রোষে পড়ুক সেটা আমিও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি না। কিন্তু পুলিশ কালিয়াগঞ্জে যেভাবে কাজ করেছে, প্রমান লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাতে করে জনতার রোষ যে বাড়বেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”
লকেট আরও বলেন, “এখনও সময় আছে, পুলিশের উচিৎ ওই ঘটনার নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করা।” আজ দলীয় কর্মীরা এই সাংগঠনিক বৈঠকে সুবিধে অসুবিধের কথা বলেন দলের রাজ্য নেত্রীকে। সেখানে দলীয় কর্মীদের সব কথা শোনেন হুগলির BJP সাংসদ।
একই সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিতা হচ্ছেন মহিলারাই।” এদিন ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্তের দাবি জানান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লকেট কালিয়াগঞ্জ নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, “রাজ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এসেছে বেশ করেছে। সাধরণ মানুষ রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। সবাই চাইছেন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হোক। এই ধরণের ঘটনা বাংলায় দেখা যায়, আর কোথাও নয়।”
এদিন লকেট আরও বলেন, “দিনের পর দিন রাজ্যে শিশু ও মহিলা নির্যাতন বাড়ছে। এখানে অপরাধীদের কোনও বিচার হয় না। রাজ্যের শাসকদলে নাম লিখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে তারা।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোগ যাত্রা নিয়ে লকেট মন্তব্য করে বলেন, “এটা তো ট্রেলার চলছে। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা অশান্তি ছড়াবে সেটা তো এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আর নিজেদের মধ্যে এই মারামারি করেই ওরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপকভাবে হারবে।”
সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় রনকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন সাংসদ লকেট।