মঙ্গলবার এক দলীয় কর্মসূচি থেকে বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, বিজেপি যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিতে পারেন, তাহলে তিনি মস্তক মুণ্ডন করবেন। তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি অর্ধেক বুথে প্রার্থী দিতে পারলে আমি সারাজীবন মাথা ন্যাড়া করে রাখব।”
মঙ্গলবার হাবড়া দুই নম্বর ব্লকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অশোকনগর ঈশ্বরী গাছা এলাকায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মঞ্চেই আইএসএফ থেকে প্রায় ২৫০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন।
এদিনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিজেপিকে সাংগঠনিক বিষয়ে খোঁচা দেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় রাজ্য জুড়ে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার আসন আছে। সেই আসনের অর্ধেক অংশে যদি বিজেপি প্রার্থী দিতে পারে তাহলে তিনি তাঁর মাথায় আর চুল রাখবে না। এমনটাই শপথ নেন তিনি।
তবে বাংলার রাজনীতিতে মস্তক মুণ্ডনের বিষয়টি নতুন নয়। কয়েক মাস আগেই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করার লক্ষ্যে মাথা কামিয়ে ফেলেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সরব হয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা।
এরপর একটি সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে লেখক দীপক ঘোষের দু’টি বই নিয়ে প্রচারের হুমকি দেন কংগ্রেস নেতা৷ এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জামিন পেয়েই আদালত চত্বরে মাথা ন্যাড়া করেন তিনি। এরপরেই কংগ্রেস নেতা বলেন, ” যতদিন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করতে পারব, আমার মাথায় চুল গজাবে না৷”
তবে এদিনের সভায় আইএসএফ কর্মীদের যোগদানের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শাসকদল। আইএসএফ কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করার ফলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে শক্তি বৃদ্ধি হল। এমনটাই জানান হাবরা দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, অন্যান্য দল থেকে আরও কর্মী, সমর্থকরা তৃণমূলে চলে আসবে বলে জানানো হয়।