মঙ্গলবার দুপুরে টিআরডিএর অফিসে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই ৫১ সতীপীঠের আদলে মন্দির নির্মাণ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে রাজ্যের পর্যটন দফতরের হাতে প্রকল্পের কাজ ছিল। তা পরিবর্তন করে TRDA-এর হাতে তুলে দেওয়া হল। সেক্ষেত্রে মন্দির নির্মাণের কাজ ইকোপার্কে যাঁরা সপ্তম আশ্চর্যের রেপ্লিকা তৈরি করেছেন, তাঁদের দেওয়া হলে দ্রুত তা সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তারাপীঠে সারা বছর কয়েক লাখ পর্যটকের আগমণ হয়। সে কথা মাথায় রেখেই তারাপীঠ মন্দিরের ঢোকার মুখে এই ৫১ সতীপীঠের ন্যায় মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হবে। জাতীয় সড়ক থেকে মনসুবা গেট পার হয়ে প্রায় ১৪ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমির উপর মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে এই উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো রাজ্যের পর্যটন দফতরকে দিয়ে কাজের পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়। তবে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র দেরিতে আসায় কাজ শুরু করতে বেশ কিছুটা দেরি হল বলে জানানো হয় জেলা প্রশাসনের তরফে।
পুরাণ অনুযায়ী, দক্ষযজ্ঞে মৃত্যু হয় সতীর। সতীর মৃত্যুর পরেই ভগবান শিব সতীর নিথর দেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন। শিবের তাণ্ডব নৃত্য থামাতে নারায়ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহকে ৫১ টুকরো করে দেন। যেখানে যেখানে সতীর দেহখণ্ড পড়েছিল, সেখানে তৈরি হয় সতীপীঠ। সতীপীঠ শুধু ভারত নয়, ভারতের বাইরেও একাধিক দেশে রয়েছে।
এতগুলো জায়গায় সতীপীঠ থাকার কারণেই সকল ভক্তদের পক্ষে এক জীবনে সবকটি দর্শন সম্ভব নয়। দর্শনার্থীদের সেই আশা পূরণেই এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয় তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের তরফে। তাঁদের প্রস্তাবের অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের পরিবেশ, বন, আবহাওয়া দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। মন্দির নির্মাণে আর বিলম্ব হবে না বলেই মনে করছে টিআরডিএ।