অর্নবাংশু নিয়োগী: রামনবমীতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে হাওড়ার কাজিপাড়া, হুগলির রিষড়া ও ডালখোলায়। এনিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজ্য প্রশসনের তত্পরতায় এনিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি হয়নি। সেইসব ঘটনার তদন্ত এবার এনআইএ তদন্তের আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওইসব ঘটনায় পুলিস কাছে থাকা সব নথি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় পিস্তল হাতে রামনবমীর মিছিলে সুমিত সাউ, অভিষেকের ট্যুইটের পর মুঙ্গেরে গ্রেফতার অভিযুক্ত
হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়ায় এবার রাম নবমীতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশ অশান্তি হয় রিষড়া ও ডালখোলায়। সেইসব শিবপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধাকারী। পরে সেই মামলার সঙ্গে যোগ হয় রিষড়া ও ডালখোলার ঘটনা। বুধবার সেই মামলায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
মামলার শুনানি চলাকালীন একসময় ভারপ্রাপ্ত প্রাধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে থেকে প্রশ্ন তোলা হয় এই অশান্তি পূর্ব পরিকল্পিত। এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের ব্য়র্থতা থাকতে পারে। হঠাত্ করে ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছে, স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। কোনও একটি গোষ্ঠী হয়তো এক্ষেত্র পরিস্থিতির সুবিধে তোলার চেষ্টা করেছে। তাই এক্ষেত্রে ঘটনা তদন্ত রাজ্যের এজেন্সির দ্বারা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেওয়া যেতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বলা হয় রাজ্যের যেসব এজেন্সি ওইসব ঘটনার তদন্ত করছে তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সব নথি, সিসিটিভি ফুটেজ, ছবি এনআইএ-কে জমা দিতে হবে। ২ সপ্তাহের মধ্যে এনআইএ তদন্ত শুরু করবে। এনআইএকে সরাসরি তদন্তের ভার দেওয়ার অর্থ ওইসব অশান্তির পেছনে কারও উস্কানি বা হাত রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা।
এবার রামনবমীর দিন অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে হাওড়ার শিবপুরে। ভাংচুর, স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তেজিত হয়ে ওঠে কাজিপাড়ার পরিস্থিতি। এমনই এক কিশোরকে বন্দুক হাতেও লাফালাফি করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তদন্ত নেমে সুমিত সাউ নামে কিশোরকে মুঙ্গের থেকে ধরে আনে পুলিস।
অন্যাদিকে, রাম নবমীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হুগলির রিষড়াতেও। রিষড়া চার নম্বর রেল গেটের কাছে পাথর বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়া-শ্রীরামপুর লোকাল। রেকটি যাত্রী পরিষেবার অবস্থায় না থাকায় সকালে শ্রীরামপুর লোকাল বাতিল করতে হয়। পূর্ব রেল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, তিন ঘণ্টার জন্য এই শাখায় পরিষেবা বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হন রাত ১০.০৬ মিনিট থেকে রাত ১.০৭ মিনিট পর্যন্ত। আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই পরিষেবা মধ্যরাত গড়িয়ে যাওয়ার পর মোটের ওপর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে।