বুধবার গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে আদালতে বিচারকের শ্নের মুখে মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব রইলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা। এদিন ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদলতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অনুব্রত। অনুব্রতর হালহকিকত সম্পর্কে খোঁজ নেন বিচারক। তাঁদের কথোপকথন নীচে তুলে ধরা হল।
আসানসোল আদালতে বিচারক-অনুব্রতর কথোপকথন
বিচারক : অনুব্রতবাবু, কেমন আছেন? এখন শরীরে অবস্থা কেমন?
অনুব্রত : শরীর ভালো নেই। অনেক সমস্যা রয়েছে।
বিচারক : আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন সেটার স্ট্যাটাস কী?
অনুব্রত : স্যর, সেটার এখনও শুনানি চলছে। আমাকে দয়া করে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন।
বিচারক : ওটা হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই। এমনি কেমন আছেন?
অনুব্রত : আছ্ছা ঠিক আছে।
বিচারক : সায়গল সব ঠিক আছে? (অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের উদ্দেশে বিচারক)
অনুব্রত (সায়গলকে বলে না দিয়ে) : সিবিআইয়ের মামলায় আমাকে দয়া করে জামিন দিন। ওটা ফলস কেস (মিথ্যা মামলা)
বিচারক : আমরা সরকারি লোকজন। কাগজপত্র ও নথি দেখেই আমাদের বিচার করতে হয়। আমি কী জানি, সেটা বড় কথা নয়।
বিচারক : তিহাড় জেলে যদি কোনও অসুবিধা হয়, তবে তা সুপারকে জানাবেন। ওখানে পরিবেশ একটু আলাদা। কোনও রকম দ্বিধা বা সংকোচ করবেন না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মে। সেদিন ফের অনুব্রতত ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গলকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদলতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় কেষ্টকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডিও।অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করে ইডি।আদালতের নির্দেশে শেষমেশ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। অন্যদিকে একই মামলায় দীর্ঘক্ষণের জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি।