মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পলসন্ডা এলাকায় এনামুলের ভাগ্নে পিন্টুর জেএইচেম রাইস মিল রয়েছে। গোরু পাচারের টাকা থেকেই এই রাইস মিল তৈরি করা হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। গোরু পাচারের টাকায় ফুলেফেঁপে উঠেছিল এনামুল ও তাঁর ভাগ্নে পিন্টু। তদন্তে নেমে সিআইডি রাইস মিলটি সিল করে দিয়েছিল। সিল করে দেওয়ার পর এই রাইস মিল থেকে চুরি যায় বস্তা বস্তা চাল। এমনকী দুবাইতে বসে রাইস মিলের চাল ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এনামুলের ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
সিআইডি সূত্রে খবর পলসন্ডার রাইস মিলে কোটি টাকার চাল মজুত করেছিল পিন্টু। মজুত চালসহ ওই রাস মিলটি সিল করা হয়েছিল। গোরু পাচার মামলার তদন্ত চলার কারণে এনামুল ও তাঁর ভাগ্নে পিন্টুর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, দুবাইতে বসেই চাল চুরির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে পিন্টু। লোক দিয়েই সেই চাল সরানো হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে খবর। সিআইডির দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকার কারণে কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ যোগাতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল পিন্টুকে। সেই কারনেই সিল করা রাইস মিলের চাল গোপনে সরানো হয়েছিল বলে অনুমান সিআইডি আধিকারিকদের।
খবর পেয়ে বুধবার জঙ্গিপুরের মিঞাপুর থেকে সেই চালের একাংশ উদ্ধার করল সিআইডি। মিঞাপুরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় কোটি টাকার চাল উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে এত চাল সরানো হলো তার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তারও হদিশ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিআইডির গোয়েন্দারা।
রাইস মিলে সিআইডি হানা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা এনামুলের ভাগ্নে তথা ব্যবসায়িক পার্টনার পিন্টু। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে বাস করার পর আপাতত দুবাইয়ে রয়েছেন পিন্টু। চাল চুরি চক্রের সন্ধান মিলতেই বড়সড় পর্দাফাঁস হতে পারে বলে মনে করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। এই ঘটনার পিছনে কারা কারা যুক্ত ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে নেমেছেন সিআইডি আধিকারিকরা।