Cattle Smuggling Scam : কালো মাস্ক-টুপিতে ভোররাতে আদালতে লতিফ! গোরু পাচার মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর – asansol special cbi court granted interim bail to abdul latif on cow smuggling case


গোরু পাচারকাণ্ডে আগেই সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আব্দুল লতিফ। এবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করল। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবারই আব্দুলকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিল।

বৃহস্পতিবার আব্দুল আদৌ আদালতে আসবেন কিনা, সেই নিয়ে অনেকের মনে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সবারই চোখ এড়িয়ে ভোররাতে আব্দুল লতিফ আসানসোল সিবিআই আদালতে এসে হাজির হন আব্দুল। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আব্দুলের জামিন মঞ্জুর করেছে। ৬ মে অবধি আব্দুলের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ রয়েছে।

Cattle Smuggling Case : সাময়িক স্বস্তিতে আব্দুল লতিফ
এদিন মাথায় কালো টুপি ও মুখে কালো মাস্ক পরে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আসেন আব্দুল। তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান যে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আব্দুল আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। জবাবে বিচারক বলেন আদালতের চোখে আব্দুল পলাতক। তিনি হাজিরা দিতে এসেছেন।

আব্দুলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডুর কাছে বিচারক জানতে চান যে তাঁরা এই মুহূর্তে আদালতের থেকে কী চাইছেন? জবাবে আব্দুলের আইনজীবী বলেন তাঁর মক্কেল ব্যক্তিগত বন্ডে আবেদন করতে চান। বিচারক পালটা বলে বেল বন্ডে আবেদন করা যেতে পারে, তবে তদন্তরকারী সংস্থা কীভাবে আব্দুলের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তাও দেখতে হবে।

Jiban Krishna Saha : পুকুরে ফোন ফেলার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য? আদালতে জানালেন জীবনের আইনজীবী
সিবিআইয়ের তরফে গোরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য আদালতকে জানিয়েছেন, যে তারা নতুন করে আব্দুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান এবং তাঁর সবরকমের সহযোগিতা আশা করছেন। আব্দুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে সিবিআই তাঁকে আজ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

গোরু পাচারকাণ্ডে আব্দুলের নাম আগেই উঠেছিল। এই মামলায় জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত আব্দুল। সম্প্রতি কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে শক্তিগড়ে যেখানে খুন করা হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজেও আব্দুলকে দেখতে পাওয়া যায়।

Anubrata Mondal: নিম্ন আদালতে জেল বদলের শুনানি, অনুব্রতকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
তবে আব্দুল বেশ কয়েকদিন ধরে ‘ফেরার’ ছিল বলে জানা গিয়েছে। গোরু পাচার বা রাজু ঝা খুনের তদন্তে তাঁকে হেফাজতে পায়নি সিট বা সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো বা আব্দুল লতিফ হাজিরা দিতে আসবেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি হাজিরা দিলেন এবং আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছিলেন আব্দুল। ৪ মে অবধি তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়ে শীর্ষ আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *