ছোটবেলা থেকে অ্যাথলেটিকে অংশগ্রহণ করে এলেও ২০১৯ সালে পাওয়ার লিফটিংয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে রিয়ার। তারপর চলে সেইমতো প্রশিক্ষণ। তবে কোভিড কিছুটা থমকে দেয়, কোভিড কাটিয়ে ফের কঠিন লড়াইয়ে নামেন রিয়া। রিয়া সাহা পশ্চিমবঙ্গের হয়ে জাতীয় স্তরে সিনিয়র পাওয়ার লিফটিং খেলতে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের ভদ্রবাটি ২০২২ এর অক্টোবরে। স্কোয়াটে ১৪৫ কেজিতে প্রথম স্থান এবং ডেড লিফট ১৫২.৫ কেজিতে তৃতীয় স্থান এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
ফের এ বছর পশ্চিমবঙ্গের হয়ে জাতীয় স্তরে সিনিয়র পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন রিয়া। কেরালার কোঝিকোড়ে ১-৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতা। স্কোয়াটে ১৫২.৫ কেজিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এবং জাতীয় স্তরে রেকর্ড করেছে ৬৯ কেজি বডি ওয়েট এবং সর্ব মোট তৃতীয় স্থান পেয়ে সকলের নজর কাড়েন।
রিয়া সাহা বালি হেলথ সেন্টার ক্লাবে প্রশিক্ষণ করেন। তাঁর আন্তর্জাতিক স্তরের প্রশিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য, রেখা মাল ভট্টাচার্য। রিয়ার সহযোগিতায় সব সময় পাশে থেকে উৎসাহিত করেছেন বাসুদেব হালদার ও বালি হেলথ সেন্টার ক্লাবের সকল সদস্য। পাশে ছিলেন পাওয়ার লিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কানাইলাল দে, অশোক মাঝি, পবিত্র ঘোষ এবং সোমনাথ মণ্ডল।
রিয়া গত ১০ বছর ধরে নিউ ব্যারাকপুরেই থাকছে পড়াশোনার কারণে। রিয়ার আদি বাড়ি হাওড়া জেলায়। পরিবারের সকলেই থাকেন সেখানে। খেলাধূলার জন্য তাঁর বাবা মা সহ পরিবারের সদস্যরাও পাশে থেকে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেন বাসুদেব হালদার। খুব অল্পদিনের পাওয়ার লিফটিং এর সফর হলেও, ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে, জাতীয় স্তরে পদক অর্জন করেছেন রিয়া।
এবার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের নাম উজ্জ্বল করা। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। যা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন সরকারি সাহায্যের। যদি রাজ্য ক্রীড়া দফতর রিয়ার এই স্বপ্ন পূরণ করতে সহযোগিতা করে তাহলে রিয়ার বিশ্বাস সে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে। এখন একটাই স্বপ্ন আন্তর্জাতিক মেডেল ছিনিয়ে নেওয়ার।