জানা গিয়েছে, হরিপুর এলাকার বাসিন্দা বিমলা রায়। তিন মাস আগে মেয়েকে সূর্যসেন কলোনির কাছে একটি স্কুলে ভর্তি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর মেয়েকে সাইকেলে নিয়ে ফিরছিলেন। রেল হাসপাতালের কাছে একটি ট্রাক তাঁদের সাইকেলে ধাক্কা মারে। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয় মা ও মেয়ের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এরপর ঘাতক ট্রাকটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিশ গিয়ে মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিমলার স্বামী গণেশ রায় পৌঁছান। দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। দুইজনকে ট্রাকটি মেরে দিল।’
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ বহুদিন ধরেই এলাকায় বেপরোয়াভাবে ট্রাকগুলি চলাচল করে। এরপরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেকের প্রাণ যাচ্ছে।
এদিন এনজেপি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপর রেল হাসপাতালের সামনে দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। এদিন এলাকায় যান শিলিগুড়ি মেট্রপলিটন পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার। তিনি জানান, ট্রাকটি ধরা হয়েছে। চালককেও ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নামা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। পড়ুয়াদের একটি স্কুল গাড়ির সঙ্গে একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় ১৫ জন স্কুল পড়ুয়াসহ গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। বহরমপুর থানার অন্তর্গত আখের মিল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়করে উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।