সেখানেই তিনি ‘ছেঁকে ধরেন’ ভুবনকে। আজমিনুর দাবি, ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি ভাইরাল করার নেপথ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি এই গানটির সঙ্গে ভুবন বাদ্যকরের ফোন নম্বর এবং পে টিএম নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এরপরেই তিনি ভাইরাল হয়েছিলেন।
যদিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ভুবন বাদ্যকরের হাবভাব বদলে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন আজমিনুর। তাঁর দাবি, ভুবনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। সেই সময় তাঁর কিছু ‘সহকারী’ টাকা দাবি করেছিলেন আজমিনুরের থেকে। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হওয়ার পর একাধিক শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন ভুবন।
সেখানে একবারের জন্যও ভুবন তাঁর নাম নেননি। বরং তাঁর এক ঝলকের জন্য বারবার টাকার দাবি করেছেন। বাংলাদেশি এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের কথায়, “অহংকার যে কোনও মানুষের পতনের মূল কারণ।” যদিও খারাপ সময় কাটিয়ে উঠুক ভুবন বাদ্যকর, এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
ভুবন বাদ্যকরের সামনেই একটি ভিডিয়োতে তাঁকে তুলোধনা করেছেন আজমিনুর। ভুবন অবশ্য ভিডিয়োতে অধিকাংশ সময় চুপই ছিলেন। যদিও, সামান্য প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “আমি কখনও অহংকার করিনি। আমার কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। এখানে ছেলে কাজ করে। তাই ভাড়া বাড়িতে থাকছি।”
এদিকে ভিডিয়োয় আজমিনুর ভুবন বাদ্যকরের সমৃদ্ধির কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে ভাইরাল হয়েছিল দুবরাজপুরের বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকরের এই গান। এরপরেই তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কখনও দাদাগিরির মঞ্চ, আবার কখনও বিলাসবহুল রেস্তোরাঁতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
নতুন বাড়িও করছিলেন ভুবন। কিন্তু, খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও ফের একবার তাঁকে সবকিছু হারাতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, আর্থিক কষ্টে ভুগছেন ভুবন বাদ্যকর। তিনি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। মাসিক প্রায় তিন হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দিন গুজরান হচ্ছে তাঁর।