স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল রাস্তায় কখনও যাত্রী নিয়ে উলটে যাচ্ছে টোটো। আবার কখনও ভারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই বেহাল রাস্তার জন্য জাতীয় সড়ক ও পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তাঁদের। এই রাস্তা ধরে প্রতিদিনই হাজার হাজার ওভারলোড বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করছে। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয় সেখ ইনতাজ নামে এক টোটো চালক জানান, দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে পাহাড়েশ্বর পর্যন্ত রাস্তা এত খারাপ যে আমাদের টোটো পাল্টি খেয়ে যাচ্ছে। তবুও এই খারাপ রাস্তায় টোটোতে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকী রোগীদের দুবরাজপুর মানসায়ের হাসপাতাল নিয়ে যেতেও দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, এই রাস্তা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির অধীনে রয়েছে। বর্তমানে যিনি হাইওয়ে ডিভিশনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি কী বুঝেছেন জানি না। তিনি বলছেন পুরসভাকে ড্রেন করে দিতে হবে। তবেই রাস্তার কাজ করব।
অন্যদিকে দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, আমরা এই রাস্তার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি জানিয়েছি। এমনকী তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভও করেছি। তবুও কোনও কাজ হয়নি। গত তিনবছর ধরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনও কাজ করেনি।
পুরপ্রধান জানান, বর্তমানে এই রাস্তার কাজের জন্য একটি টেণ্ডার ডাকা হয়েছে। তারা একটি আবেদন করেছে যে কিছুটা অংশে ড্রেন করে দিতে হবে। আমরা ড্রেনের কাজের জন্য মাপজোক শুরু করে দিয়েছি। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে ড্রেনের কাজ শেষ করে রাস্তার কাজ শুরু হবে।
শহরকে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ফলক লাগানো হয়েছে। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শহরের দুই প্রাণ কেন্দ্রে পুরসভার পক্ষ থেকে ‘I Love Dubrajpur’ লেখা ফলক বসানো হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও শহরের মূল যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তার দুরাবস্থায় ক্ষোভ জমছে শহরবাসীর মনে।