এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন করেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইন্দ্রনীল খাঁ। ইতিমধ্যেই তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী সপ্তাহে।
মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সংবাদ মাধ্যমে জানান, তাঁর দুই ছেলেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান। কেন পরিবারের আত্মীয় বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করা হল তা নিয়েই তাঁরা কথা বলতে যান। তাঁর আরও দাবি, সেই সময় কেউ পেছন থেকে তাঁকে গুলি করে দেয়।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। শিলিগুড়িতে থাকতেন তিনি। পরিবারের একটি বিয়ের জন্য তিনি চাঁদগাঁ গ্রামে উপস্থিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর আবার গোটা পরিবারকে নিয়ে তাঁর শিলিগুড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রবীন্দ্রনাথের দাবি ছিল, প্রথমে তাঁরা ঠাহর করতে পারেননি যে এলাকায় পুলিশ এসেছেন। এরপরেই তাঁরা জানতে পারেন প্রতিবেশী বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে পুলিশ এসেছে। এরপরেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে যান রবীন্দ্রনাথ বর্মনের দুই ছেলে।
ইতিমধ্যেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়েছে রাজনৈতিক মহলেও। ঘটনায় সরাসরি পুলিশের দিকে তোপ দেগেছে রাজ্য BJP। এমনকী, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে গেরুয়া শিবির। এই বনধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ওই তরুণীর মৃত্যুর পর দফায় দফায় উতপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। নাবালিকার পরিবারও CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে।
বিচারপতি নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ছবি ঘিরে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এভাবে দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য চারজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এবার নাবালিকার পাশাপাশি যুবকের মৃত্যুর ঘটনাতেও CBI তদন্ত চেয়ে দায়ের হল মামলা।