দুরাবস্থার কথা চর্মনগরীর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিযোগ, ইদানিং বানতলায় ব্যবহৃত রাসায়নিক মিশ্রিত দূষিত জল ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। নিয়ম অনুযায়ী ট্যানারির ব্যবহৃত দূষিত জল পরিশুদ্ধ করে পুনরায় কারখানায় কাজে ব্যবহার করার কথা।
যার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে ওয়াটার রিসাইকেলিং হাব করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও ট্যানারি থেকে দূষিত জল খোলা জায়গা দিয়ে বেরিয়ে এলাকা প্লাবিত করছে। দূষিত জল গিয়ে পড়ছে খালে। খালের পাশে থাকা চাষের জমি, পুকুরে সেই জল ঢুকে মাছ মরছে, মাঠে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
বানতলায় ছ’শোর বেশি চামড়া কারখানা আছে। কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত চামড়া ধোয়া জল ছড়িয়ে পড়ছে এলাকার মাঠঘাট পুকুর এবং খালে। সেখান থেকেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং বাস্তুতন্ত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মইনুদ্দিন মালি বলেন, “কারখানার দূষিত জল আমাদের গ্রামের খালে এসে পড়ছে বহুদিন থেকে। এমনকি সেই জল মাঝেমধ্যে আমাদের গ্রামেও ঢুকছে। গ্রামের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।” বাসিন্দাদের কথায়, গ্রামে তিন ফসলা জমিতে চাষ হয়। কিন্তু নোংরা, দূষিত জল ঢোকার কারণে এখন চাষের কাজে প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে।
তবে তারদহ অঞ্চলের উপপ্রধান তথা বানতলা চর্মনগরীর নেতা রাকেশ রায়চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের এই অভিযোগ আমরা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে ধরব। দূষিত জল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে কলকাতা ট্যানারি এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেই লেদার কমপ্লেক্সের উন্নতির জন্য বানতলা চর্মনগরীতে পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার ৫৪০ কোটি টাকা খরচ করে। বানতলা চর্মনগরীতে বার্ষিক আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ১৩,৫০০ কোটি থেকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা বৃদ্ধি করে ৩০,০০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয় সরকার।