প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে তাঁর নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই মামলায় অন্য বিচারপতি নিয়োগের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
নিয়োগ দুর্নীতিকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রধান হাতিয়ার করেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে অত্যন্ত ভালো চোখে দেখতেন। বাংলার মানুষ চাইতেন তিনি লড়াই করে যান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের মানতে হবে।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতির যুক্তি, “কোনও বিচারপতি বা বিচারপতিদের বেঞ্চের উপর তো কোনও মামলা নির্ভর করে না। নির্ভর করে আইনের উপরে। যে সব তৃণমূল নেতারা ভাবছেন, হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, তাঁদের হাফ ছেড়ে বাঁচার কথা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। জেলে যাবেন। দুদিন আগে যেতেন, সেখানে দুদিন পরে যাবেন।” কিছু মানুষ ভাববেন বেঁচে গেলাম, কিন্তু বাঁচার কোনও সুযোগ থাকবে না বলেই মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম রায়ে হতাশ আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, পদাধিকারীরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত বিধানসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত হতাশাজনক ফলের পরেও রাজ্যে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই রায় রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের অনেকটা দুর্বল করল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
এমনকি, নিয়োগ দুর্নীতিতে যে কজন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর পরেও আরও কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রেফতার হবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে শোনা গিয়েছে একাধিক বিজেপি নেতাকে। তৃণমূলের ‘মাথা’ ধরা পড়বে বলে একাধিকবার বক্তব্য পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্য সভাপতিও। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে, সেটাই এখন দেখার।