শুভেন্দু গড়ে আর কয়েকদিন পর আসবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগমনের আগেই আবারও তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে জেলায়। ব্লক নেতৃত্বের ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করলেন অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর পদত্যাগের কথা জানান তৃণমূল নেতা। তারপরেই কার্যত রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পটাশপুর দুই ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী পদত্যাগ করেছিলেন। একের পর এক পদত্যাগের ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে পটাশপুরে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন প্রকল্প চালু করেছে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’। সেই মতো পূর্ব মেদিনীপুরে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় চারদিন থাকবেন তিনি। পটাশপুরে জনসংযোগ করবেন। এরই মধ্যে পটাশপুরে পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলে।
পদত্যাগী তৃণমূল নেতা আনন্দ মোহন কর বলেন, “যেভাবে দল চলছে দলের উপর আস্থা নেই। সব জায়গায় গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। ব্লক নেতৃত্ব চরম দলবাজি করছে। তৃণমূল নেতৃত্বরাই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে। ”
তবে জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “কেউ অসুবিধা করলে সেটা দলের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। পদত্যাগ কোনও সমাধান নয়। ব্লক কমিটি আঞ্চলিক, কমিটি গঠনে যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে আমরা জেলা কমিটি থেকে ঠিক করে দেব। এখন জেলা কমিটিকে বলা হয়েছে কোনও ব্লক কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি অ্যাপ্রুভাল দেওয়া যাবে না।”
পালটা আনন্দ মোহন কর বলেন, “মন্ত্রী অখিল গিরি পদত্যাগের হিড়িক দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী বক্তব্য রাখছেন। তিনিও নিয়ন্ত্রণে নেই। মন্ত্রীর কোনও কথাতেই আমরা গুরুত্ব দিই না। তিনি কিছুদিন পর আবার তাঁর বক্তব্য পালটে দেবেন। তৃণমূল নেতৃত্বই তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে। এর থেকে অন্য দল করাই ভালো। পটাশপুর দু’নম্বর ব্লকের আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও পদত্যাগের হিড়িক পড়বে বলে আগাম জানান দলত্যাগী নেতা।