অভিযোগ, এরপরই তপন বিশ্বাসকে কোনও কিছু বুঝতে না দিয়ে এটিএম কার্ডটা নিয়ে নিজেই তা করে দেওয়ার ভান করে। কিন্তু, সেই সময় গ্রাহকের চোখের আড়ালে ওই কার্ড বদল করে অন্য একটি একই দেখতে কার্ড তাঁর হাতে ধরিয়ে দেয়। তপনবাবু কিছু না বুঝেই সেখান থেকে চলে যায়।
এরপরই তাঁর মোবাইলে পরপর মেসেজ আসতে থাকে এবং ১০ হাজার টাকা করে করে দফায় দফায় টাকা কাটতে থাকে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা করে তিনবার টাকা নেওয়া হয় তাঁর অ্যাকউন্ট থেকে। সব মিলিয়ে সময় লাগে ১৫ মিনিট। বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই সমস্ত ঘটনা ঘটে যায়।
সম্বিত ফিরে পেয়ে তপনবাবু তড়িঘড়ি তাঁর ব্যাঙ্কে গিয়ে তারা কার্ড বন্ধ করে দেয়। কিন্তু, ততক্ষণে সাড়ে তিনলাখ টাকা গায়েব। ব্যাঙ্কের কথা মতো বারাসত সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানান তিনি। তাদের কথা মতোই বারাসত থানাতেও অভিযোগ জানান। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
এটিএমে CCTV রয়েছে, সেই ক্যামেরায় এই ঘটনা নিশ্চিতভাবে ধরা পড়েছে, যদিও সেই CCTV ফুটেজ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে থানা। প্রশাসনের তরফেও সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই সাড়ে তিন লাখ টাকা হারিয়ে বিধ্বস্ত বারাসতের বাসিন্দা। তাঁর সর্বস্ব জমানো অর্থ চুরি হয়ে যাওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলছেন বারবার। তিনি বলেন, তাঁর আশা একটাই যদি পুলিশ প্রশাসন তার এই অর্থ যতটা সম্ভব উদ্ধার করে দিতে পারবে, সেটাই তার কাছে স্বস্তির হবে বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় সকলেই স্তম্ভিত। কীভাবে প্রকাশ্যে এই ধরনের প্রতারণা হল, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে স্থানীয়দের।