আর তাই নিয়মিত ওই কাজের রিপোর্ট নিচ্ছেন তাঁরা। কাজ শুরুর পর থেকে কোথায় কতটা কাজ এগোল, কাজে কোথাও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে বলা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, “পথশ্রী – রাস্তাশ্রী প্রকল্পে কোচবিহার জেলা জুড়ে কাজ চলছে। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ষার আগেই যতটা সম্ভব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কোচবিহার জেলায় বেশ কিছু রাস্তা খুব খারাপ। বাসিন্দাদের চলাচলে দুর্ভোগ বাড়ছিল। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় শাসকদলের নেতা থেকে জন প্রতিনিধিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল।
তাই রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহার জেলাতেও রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার ১২ টি ব্লকে ৩৭০ টি রাস্তা হচ্ছে। এর জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় যে সরকারি কাজে ঢিলেমি হয়। আর যেহেতু সামনে বর্ষা, তাই বর্ষার আগেই যতটা সম্ভব কাজ শেষ করা বা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
কোচবিহার জেলা পরিষদ এর পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “পথশ্রী – রাস্তাশ্রী প্রকল্পে জেলায় ৮০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে দৈনিক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
যদিও BJP-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাগুলো বেহাল। বাসিন্দাদের ক্ষোভ চরমে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ তাদের ভোট দেবেন না এটা বুঝতে পেরেই এখন ক্ষত মেরামত করতে চাইছে। এতে লাভ হবে না।”
এরকমই এক গ্রামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “এখানে দেখলাম খারাপ রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে। এটাও বলছে যে বর্ষাকালের আগেই সব কাজ শেষ হবে। ভালো কথা। কিন্তু আগে কাজ শেষ হোক, তারপর বিশ্বাস হবে।”