ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে মাথাভাঙা থানার পুলিশ এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তৃণমূল নেতা তথা পচাগড় অঞ্চল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি রমেন প্রামানিক বলেন, “রাতে পাশেই একটি গ্যারেজে আমি ছিলাম সেখানে একটি শব্দ আমার কানে আসে। কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে ফোন আসে। তারপর বাড়ি এসে দেখি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার উদ্দেশ্যে আমার ঘরের পাশে একটি বোমা ছুঁড়েছে কেউ। বোমা ফেটে ঘরের বেড়া এবং টিনের গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোমাটি দেওয়ালে না লেগে যদি বেড়াতে লাগতো তাহলে হয়তো ঘরের ভিতরে ঢুকে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারতো।ঘরেই আমার স্ত্রী এবং ছোট বাচ্চা ছিল। প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে তারা এবং বাচ্চা রাত থেকে কান্নাকাটি করেই চলেছে।”
এই ঘটনায় তিনি মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন বোমাবাজির খবর পেয়ে রমেন প্রামাণিকের বাড়িতে আসেন পচাগড় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা। তবে BJP-র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির মাথাভাঙা ৪ নং মণ্ডল সভাপতি শেখর রায়।
তাঁর দাবি, “পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলে তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের কোন্দলেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিজেরা বোমাবাজি করে BJP-র নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” BJP-র বোমা বন্দুকের রাজনীতি করে না বলেও তার দাবি।
তিনি আরও বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ওদের গোষ্ঠীগুলির মধ্যেই ঝামেলা লাগছে যে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে। আর সেই কারণেই ওদের একের পর এক কর্মী বা নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটছে। গোটা কোচবিহার জেলাতেই BJP যথেষ্ট শক্ত জায়গায় অবস্থান করছে। তাই BJP এসব ছোটখাটো হামলা করে নিজেদের বদনাম করতে যাবে না।” এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।