দুটি মন্দিরে চুরি যাওয়া লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপার গয়না উদ্ধার করল পুলিশ। পাশাপাশি দুটি ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার ডায়মন্ড হারবারে সাংবাদিক সম্মেলন করে চুরির ঘটনার রহস্যভেদের কথা জানালেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি রাহুল গোস্বামী।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মাস আগে ডায়মন্ড হারবার থানার হরিণডাঙা রক্ষাকালী মন্দির থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না চুরি হয়ে যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বড় কালীপুজো এই হরিনডাঙা রক্ষাকালী পুজা। ফলেই মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনার তদন্তে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন কুমার দের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ চুরির ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চুরি যাওয়া সোনা ও রুপোর গহনা উদ্ধার করে। পাশাপাশি এই ঘটনার পরই গত নভেম্বর মাসে ডায়মন্ড হারবারের একটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হয়ে যায় মন্দিরের প্রতিমার গয়না।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি মন্দিরে চুরি যাওয়া লক্ষাধিক টাকার গয়না উদ্ধারের পর শনিবার মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে সেই গয়না তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি রাহুল গোস্বামী জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম ডায়মন্ড হারবারের হরিণডাঙার রক্ষা কালীপুজো। যার সঙ্গে জেলার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আগামী ২রা মে হরিণডাঙার রক্ষা কালীপুজো রয়েছে। আর তার আগেই মন্দিরের চুরি যাওয়া মায়ের গয়না উদ্ধার করে মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে তৎপর ছিল ডায়মন্ডহারবার পুলিশ।
সে মতোই তদন্ত চালিয়ে গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষাধিক টাকার গহনা উদ্ধারের ঘটনায় বেজায় খুশি হরিণডাঙা ও দিয়ারক গ্রামের মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। মায়ের আশীর্বাদে এই তদন্ত সফল হল বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।