ফের উত্তপ্ত হুগলির শ্রীরামপুর। এক পথচারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধে স্থানীয়রা। দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের উপর আছড়ে পড়ে ক্ষোভ। ট্রাফিক কিয়স্ক ভাঙচুর করে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শ্রীরামপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে ব়্যাফ।জানা গিয়েছে, এদিন হুগলির শ্রীরামপুর পিয়ারাপুর মোরে দিল্লি রোড়ে সাইকেল আরোহী এক মহিলাকে পিষে দিয়ে চলে যায় ডাম্পার। প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিল্লি রোড় অবরোধ এলাকাবাসীর।মৃত বছর ৫৬ বছরের ওই মহিলার নাম নাম পুষ্পা সাঁতরা।বাড়ি বড় বেলু মনসাতলায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন মহিলা বেপরোয়া ডাম্পার তাকে পিষে দেয়।ট্রাফিক থাকা সত্ত্বেও দূর্ঘটনা ঘটছে অভিযোগ স্থানীয়দের।দিল্লি রোডের উপর ট্রাফিক কিয়স্ক ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। অবরোধের জেরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় দিল্লি রোডে। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। North Bengal Bandh: বনধ ঘিরে উত্তাল শিলিগুড়ি, বাস চালককে মারধর! কোচবিহারে বাঁশ নিয়ে তাড়া তৃণমূল সমর্থকদের
মৃতের আত্মীয় সুকুমার মালিক বলেন, সকালবেলা সাতটার সময় লিলুয়া বাড়ি থেকে কাজে যাচ্ছি বলে বেরিয়ে ছিল। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল জেঠিমা। বেপরোয়া ডাম্পার এসে তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। যারা ট্রাফিকে ডিউটি করেন তারা পয়সা নিয়ে গাড়ি ঢোকায়। আমরা তাদের শাস্তি চাই।
সাবিত্রী মালিক নামে এক মহিলা বলেন, অধিকাংশ দিন ট্রাফিক পুলিশটা গাছের তলায় বসে মোবাইল ফোন দেখে। তারা মানুষকে দেখতে পারে না। ৭টা বাজলেই রোজ লিলুয়া কাজে যায় পুষ্পা সাঁতরা। বাড়িতে তার অসুস্থ একটি মাত্র ছেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। চন্দননগর পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা চলছে।
রামনবমীর অশান্তির আঁচের ক্ষত ভুলতে না ভুলতে ফের এদিনের অশান্তির পরিস্থিতিতে ফের উদ্বেগ। এদিন অশান্তি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উল্লেখ্য, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হুগলির রিষড়াতে অশান্তির (Rishra Clash) ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিনদিনেরও বেশি উত্তপ্ত ছিল গোটা এলাকা। সেই অশান্তি ছড়ায় শ্রীরামপুরেও।