পূর্ব বর্ধমান খণ্ডঘোষের মোগলমারি এলাকায় মেয়ের বিয়ের জন্য রাজকীয় আয়োজন করেছিলেন সেখ জামিন উদ্দিন। মাঠের মাঝখানে সুসজ্জিত প্যান্ডেল করে লোক খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিতদের আতিথেয়তার কোনও ত্রুটি রাখেননি জামিন উদ্দিন। সমস্ত আয়োজনের পর কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি, কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব তছনছ হয়ে যাবে।
অল্প সময়ের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বিয়েবাড়ির প্যান্ডেল। ছুটে গিয়ে রক্ষা পান বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেলে খেতে বসা আত্মীয় পরিজনরা। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
গরমের কারণে বৃষ্টির জন্য হা পিত্যেশ করেছিলেন সকলেই। তবে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বেগে কালবৈশাখী ঝড় হওয়াতেই বিপত্তি ঘটে। ঝড়ের কারণে বিয়ে বাড়ির এরকম শুভ অনুষ্ঠানে এরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পড়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন সেখ জামিন উদ্দিন।
মেয়ের বিয়ের দিনেই কালবৈশাখী ঝড়ে প্যাণ্ডেল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়ে যান কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা সহ পরিবারের সদস্যরাও। মোগোলমারি গ্রামে বসবাস করেন সেখ জামিন উদ্দিন ও তাঁর পরিবার। মেয়ের বিয়েতে আমন্ত্রিতদের খাওয়া-দাওয়া ও বরযাত্রীদের বসার জন্য সাজানো গোছানো এলাহি প্যান্ডেল করা হয়েছিল।
আত্মীয়-স্বজনের ভিড়ে এদিন সকাল থেকেই জমজমাট ছিল বিয়ে বাড়ি। সব আয়োজনে জল ঢেলে দেয় দুপুরে হঠাৎ করে ধেয়ে আসা কালবৈশাখী ঝড়। একপ্রকার ধূলিসাৎ হয়ে যায় প্যান্ডেল। ঝড়ের এমন তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিয়ে বাড়িতে থাকা অতিথিরা।
দুপুরবেলা মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা থাকলেও প্যান্ডেল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় আত্মীয় পরিজন ভালোভাবে খেতে পর্যন্ত পারেনি। কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। জামিন উদ্দিন বলেন, “সকালেই এই অবস্থা। এরপর রাতের বেলা সব মিলিয়ে হাজার দুয়েক নিমন্ত্রিতকে কোথায় বসিয়ে খাওয়াবেন সেটা ভেবে কিছু কুল কিনারা পাচ্ছেন না।” তবে ঝড়ের কারণে আমন্ত্রিতদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। এটাই একমাত্র নিশ্চিন্ত থাকার খবর, বলেন জামিন উদ্দিন।