দেরি হয়ে যাওয়ায় মিস হয়ে গেল তাঁর ফ্লাইট। ধরতে পারলেন না ২ টো ৪০ মিনিটের বাগডোগরা থেকে ফ্লাইট। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আজকে ট্রেনেই কলকাতা রওনা হবেন তিনি।
আজ শনিবার, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ময়নাগুড়ির বাড়ি থেকে মঙ্গলাকান্ত রায় দেখা করতে যান জটিলেশ্বর মন্দিরে। সেখানে অভিষেকের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে। পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপক মঙ্গলাকান্ত রায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন অভিষেক।
শনিবার ময়নাগুড়ির জটিলেশ্বর মন্দির থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। মন্দিরেই আনা হয়েছিল মঙ্গলাকান্তকে। এদিনই তাঁর কলকাতায় যাওয়ার কথা। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল মঙ্গলাকান্তর।
কিন্তু জানা গিয়েছে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে দেরি হওয়াতেই বিমান ধরতে পারেননি তিনি। তিনি পরে ট্রেনে কলকাতা রওনা হবেন। এদিন মঙ্গলাকান্তর কী সমস্যা বা তিনি কি চান তা অভিষেক জানতে চেয়েছেন। অভিষেকের অফিস থেকে মঙ্গলাকান্তর ফোন নম্বর সহ তথ্য নেওয়া হয়েছে।
এদিন অভিষেক আসার বহু আগেই মঙ্গলাকান্তকে জটিলেশ্বর মন্দিরে আনা হয়েছিল। সে সময় মঙ্গলাকান্ত বলেন, “আমার বাড়ির রাস্তা খারাপ। একটা সরকারি ঘরও পাইনি। এসব কথা আমি অভিষেককে বলব।”
মঙ্গলাকান্তর ছেলে উমাকান্ত রায় এই বিষয়ে জানান, “আমার বাবা বিমান ধরতে পৌঁছতে পারেননি। আজ অভিষেকের সঙ্গে ওনার আগে থেকেই সাক্ষাৎ করার সময় ঠিক হয়েছিল। সেখানেই কিছুটা সময় বিলম্ব হয়। এবার ট্রেনে বাবাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।”
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কথা প্রবীণ সারিঞ্জা বাদক মঙ্গলাকান্ত রায়ের। সেই কারণেই তাঁর এই কলকাতাতে যাওয়া। কিন্তু ঘটনাচক্রে অভিষেকের সঙ্গে না দেখা করেও তিনি কলকাতা যেতে চাননি।
এদিন দীর্ঘক্ষণ একান্তে মঙ্গলাকান্তর সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। যদিও সে কথাবার্তা একেবারেই ব্যক্তিগত স্তরের বলে জানা গিয়েছে। নিজের এলাকার খারাপ রাস্তা, বাড়ির সমস্যার কথা অভিষেককে জানিয়েছেন তিনি।