জ্যোর্তিময় কর্মকার: দিল্লি সফর থেকে খালি হাতেই ফিরছেন মুকুল রায়। দিল্লি এসে তিনি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলে নেই, আছেন বিজেপিতে। এমনকী মুকুল জনান, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি এসেছেন। সূত্রের খবর, জেপি নাড্ডা, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। কিন্তু টানা দু সপ্তাহ অপেক্ষা করেও কারও অ্যাপয়েন্টমেন্ট মেলেনি। এদিকে মুকুল সম্পর্কে দায় ঝেড়ে ফেলেছে তৃণমূলও। অন্যদিকে, নতুন করে মুকুলকে বিজেপিতে শামিল করানো নিয়ে প্রকাশ্য ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই।
আরও পড়ুন, Second Hooghly Bridge: শনি ও রবিবার বন্ধ হচ্ছে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু! নতুন দিন ঘোষণা, যানজটের আশঙ্কা
‘ছেলের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে বলে দিল্লি চলে এসেছি। কাউকে বলে আসিনি। দিল্লি অনেক নিরাপদ জায়গা। আমি এখন কটা দিন দিল্লিতেই থাকব। রাজনীতির কাজের জন্যই দিল্লিতে এসেছি। সেটিং এর জন্য আসিনি।’ কিছুদিন আগে দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়। তারপরই টানাপোড়েন শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ছেলে শুভ্রাংশু বাবাকে ‘মানসিক অসুস্থ’ বলে ‘টাকার খেলা’, ‘অপহরণে’র অভিযোগ তুলেছিলেন।
তবে অন্তর্ধান নিয়ে এত নাটকীয় পর্ব চলার পরও কোনও ফল হল না। খালি হাতেই ফিরতে হলে মুকুল রায়কে। অনেক চেষ্টা করেও জে পি নাড্ডা বা অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করারও। কিন্তু কোনটাই ফলপ্রসূ হল না। যদিও রাজনীতির ময়দানে অবশ্য এখন দেখা-ই যায় না মুকুল রায়কে। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছিলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ নন মুকুল।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। এরপর স্রেফ দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়াই নয়, একুশের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জেতেন পদ্ম-প্রতীকেই। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন মুকুল। সঙ্গে ছেলে শুভ্রাংশুও।
আরও পড়ুন, KMC: ‘পুরসভায় আসি যাই মাইনে পাই, সেই দিন শেষ’, হাইটেক হচ্ছে কলকাতা পুরসভা