জানা গিয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে মুকুল রায়কে। তাঁর প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে বলেন, “আজ বাবার ফেরার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার রাতে বাবা বাড়িতে ফোন করেছিল। জানিয়েছে আজ ফিরতে পারেন। তবে কখন ফিরছেন সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।” জানা গিয়েছে, একাধিকবার অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে সময় চান মুকুল। কিন্তু, তিনি সময় পাননি বলেই সূত্রের খবর।
মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়ার পরই পুরো ঘটনার নেপথ্যে ‘বিরোধীদের ষড়যন্ত্র’-এর তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন শুভ্রাংশু। মুকুল রায়কে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে কি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করা হয়েছিল? এই প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু বলেন, “বাবা আগে ফিরুক। তার সঙ্গে কথা না বলে কিছুই বলতে পারছি না।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ তারিখ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বিধায়ক মুকুল রায়। বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুলকে নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। শোনা যাচ্ছিল, তিনি দিল্লিতে গিয়ে ফের একবার BJP-র পতাকা হাতে তুলে নেবেন।
গত এক বছর ধরে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর একটি অপারেশনও হয়। এরপর সেভাবে বড় কোনও রাজনৈতিক সমাবেশে দেখা যায়নি তাঁকে।
প্রায় দু’বছর পর দিল্লিতে পা রাখেন তিনি। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে অবশ্য তিনি স্পষ্ট জানান, ব্যক্তিগত কারণে দিল্লি গিয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর BJP-তে যোগদানের জল্পনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। দিল্লিতে গিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়।
তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। কারণ আমি তৃণমূলে কোনওদিন যোগদানই করিনি।” তাঁর ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছিল। ছেলে শুভ্রাংশুর দাবি ছিল, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আর সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মর্মে তিনি এয়ারপোর্ট থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
যদিও মুকুল রায়কে যাতে দলে ফিরিয়ে নেওয়া না হয় সেই দাবিতে রীতিমতো সরব হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারাই। মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়ার হেতু এখনও স্পষ্ট হয়নি।