Nadia News : বয়স ১০০ ছুঁই ছুঁই , বঞ্চিত সরকারি প্রকল্প থেকে! অদম্য জেদ নিয়ে তাঁত চালিয়েই দিন কাটে মানদা দেবীর – nadia old woman though was honored by minister but deprive of getting any government scheme benefits know her struggle story


West Bengal News : বয়স সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। বলিরেখায় ঢেকেছে মুখ। চোখের দৃষ্টিও ক্ষীণ হয়ে এসেছে। তবুও, শরীরের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে তাঁত চালিয়ে পরিবারের কাজে মাঝেমধ্যে সাহায্য করেন। তিনি নদিয়া জেলার শান্তিপুরের বাসিন্দা মানদা বসাক। নারী দিবসে সরকারি অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিতও হয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই মানুষটি আজও পেলেন না বার্ধক্য ভাতার পরিষেবা। উষ্মা প্রকাশ পরিবারের সদস্যদের।

Swasthya Sathi : স্বাস্থ্য সাথীতে নাম আছে আপনার? কী ভাবে দেখবেন জানুন
নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়ার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মানদা বসাক। মানদা দেবীর পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁর বয়স প্রায় ৯৯ বছর অতিক্রম করে ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। এখনও পর্যন্ত তিনি যথেষ্ট সাবলীল। চরকায় সুতো পাকিয়ে সহযোগিতা করে পরিবারকে।

Abdul Hamid : ৯০ হাজার টাকা পেনশন সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আর কী কী পাচ্ছেন?
নাতি ও ছেলে হস্তচালিত তাঁত বুনেই কোনওরকমে সংসার চালান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে সামান্য খোঁজ খবর নিয়ে যান ঠিকই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এখনও তাঁরা বঞ্চিত। মেলেনি বার্ধক্য ভাতা, সুবিধা মেলেনি আবাস যোজনা ঘরও।

Mountaineer Piyali Basak : ‘পরিকল্পনার অভাবে মাকালু অভিযান হাতছাড়া হল…’, রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন পিয়ালি
বিশ্ব নারী দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রীর হাত থেকে সম্মান পান মানদা দেবী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয় তাঁকে। হাতে সম্মাননা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সম্মান তুলে দেওয়ার পরে অনেক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা করেন মানদা দেবীর চরণ ছুঁয়ে।

Paschim Medinipur : রাজ্যের প্রকল্প তুলে ধরেছেন পটচিত্রে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন পিংলার বাহাদুর চিত্রকর
এতো গেল সম্মানের কথা। কিন্তু পরিবারটি এখনও হত দরিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে জলে ভেসে যায় সারা ঘর। কিন্তু উপায় তো নেই তার। এরই মধ্যেই করতে হয় রাত্রি বাস। মানদা দেবী বলেন, “এখনও কোনও ওষুধ খাই না। শরীরে সেরকম কোনও অসুস্থতা এখনও নেই। তবে চরকা টানার কাজ এখন আর করতে পারি না। কিছুদিন আগে পর্যন্ত করতাম।”

North 24 Pargana : কালবৈশাখীর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাইঘাটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, সরকারি সাহায্যের আবেদন গ্রামবাসীদের
মানদা বসাকের নাতি বলেন, “ঠাকুমা যেহেতু এই বয়সেও কাজ করতে পারে, নক্সী কাঁথার কাজ করতে পারে, তাই ওঁকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।” তবে বার্ধক্য ভাতা এখনও এল না কেন ? তিনি জানান, ওঁর আধার কার্ড আঙুলের ছাপ নিয়ে একটা সমস্যায় পড়তে হয়। স্থানীয় একাধিক প্রশাসনিক দফতরে ঘুরে আধার কার্ডের সমস্যাটা এখনও মেটেনি। সেই কারণেই আটকে বার্ধক্য ভাতা।

স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তাঁর আধার কার্ডের একটি সমস্যার কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের একটু সমস্যা তৈরি হয়। একই কারণে আটকে বার্ধক্য ভাতাও। আগামীতে তিনি যাতে বার্ধক্য ভাতার সুবিধাও পান সেটাই চেষ্টা করা হবে। এখন দেখার মানদা দেবীর পরিবার কত তাড়াতাড়ি সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *