শুক্রবার ভাঙড়ের পোলেরহাটে একটি পথসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, “যাঁরা মিছিল নিয়ে এসেছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরে আইএসএফের যে সমস্ত ঘাই আছে – যে সমস্ত কর্মীরা আছে জাল ফেলে দিন। জাল ফেলে দিয়ে ঘাই চেপে ধরে আপনারা আপনাদের কাজ করুন। প্রশাসনটা আমরা দেখে নেব।”
তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আইএসএফকে হুমকি দিতে এরকম শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন তৃণমূল নেতারা, বলে দাবি তাঁদের। তবে বিষয়টিকে ‘হুমকি’ বলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল হুমকির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে দাবি তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা থেকে শুরু করে আরাবুল ইসলামের।
শুক্রবার পোলেরহাট এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি ও আইএসএফের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি শক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। এরপর ওই এলাকায় একটি পথসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখনে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা, ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার আরাবুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
পোলেরহাট সবজি বাজার থেকে পোলেরহাট ট্যাক্সিস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা। পরে পোলেরহাট ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে পথসভাতে শওকত মোল্লা-আরাবুল ইসলামদের সামনে আবদুর রহিম মোল্লার বক্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। তবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “এটা হুমকির কোনও বিষয় নয়, তৃণমূল কংগ্রেস হুমকির রাজনীতি করে না।”
তবে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “কু কথা, কটু কথা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অলঙ্কার হয়ে গিয়েছে।” পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আইএসএফ কর্মীদের মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। যেখানে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির কথা বলছেন, সেখানে তৃণমূল জেলা – ব্লক স্তরের নেতৃত্ব এই ধরনের বক্তব্য কী ভাবে দেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নওশাদ।