Uttar 24 Pargana CPIM : এক যুগ পর শাসনে ঘুরল চাকা! ফের পার্টি অফিস খুলল CPIM – cpim once again open party office after 12 years in uttar 24 pargana shasan area


West Bengal News : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ২ ব্লকের এলাকা শাসন। CPIM-র দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা মজিদ মাস্টারের নামে বাঘের গোরুতে এক ঘাটে জল খেত সেখানে, এমনই কখা প্রচলিত ছিল গোটা রাজ্যে। শাসনে শাসন চলত মজিদ মাস্টারেরই, এমনটাই অভিযোগ ছিল তৎকালীন বিরোধীদের। এক সময় CPIM-এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল৷

কিন্তু ২০১১ সালের একটু আগে থেকেই ধীরে ধীরে পালাবদল হতে শুরু করে সেখানে। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তো একেবারেই পালটে যায় শাসন।গায়েব হয়ে যায় লাল ঝান্ডা৷ তালা পড়ে গিয়েছিল CPIM-এর পার্টি অফিসেও৷

Nandigram CPIM : নন্দীগ্রামে CPIM-র দেওয়াল লিখনে কালি! TMC-BJP-র বিরুদ্ধে অভিযোগ বামেদের
সেই শাসনই ১২ বছর পড়ে ফের একবার CPIM-কে ঘুরে দাঁড়াতে দেখল। পুলিশি প্রহরায় দীর্ঘ ১২ বছর পর শাসনে বন্ধ পার্টি অফিস খুলল CPIM। শুধু তাই নয়, ভোটের মুখে বড়সড় ভাঙনও ধরাল তৃণমূলে। যা ঘিরে রীতিমতো উজ্জীবিত বাম শিবির।

অভিযোগ, শাসকদলের সন্ত্রাসে ২০১১ সাল থেকেই বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল বারাসত ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত CPIM-এর এই পার্টি অফিসটি। অবশেষে সমস্ত বাধা, বিপত্তি পেরিয়ে দলীয় কার্যালয় খুলতে সমর্থ্য হলেন CPIM নেতৃত্ব।

Dulal Banerjee CPIM : খুনের দায়ে জেল খাটা দুলালকে ফেরাচ্ছে CPIM! মুখ খুললেন ‘বহিষ্কৃত’ নেতা
এই বিষয়ে শাসকদল থেকে CPIM-এ যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি জানান, “আমি স্থানীয় মদনপুর এলাকার তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম। আজকে অনেক জ্বালা যন্ত্রণায় তৃণমূল ছেড়ে CPIM-এ যোগ দিলাম। আমাদের বুথটি বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেও আমরা তৃণমূলকে ৪০০-৫০০ ভোটে লিড দিতাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা তৃণমূলে উপযুক্ত সন্মান পাইনি।”

CPIM-এর উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী জানান, “তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানুষ আজ তৃণমূল ছেড়ে CPIM-এ যোগদান করছেন। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগামছাড়া দুর্নীতি। তৃণমূলের দুর্নীতির জ্বালায় মানুষ বিরক্ত, ক্লান্ত। তা বোঝাই যাচ্ছে।”

Lenin Birthday : মেঝেতে পড়ে লেনিনের ছবি, পুড়ে ছাই বই-পোস্টার! CPIM পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ
যদিও এই ঘটনাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। উলটে CPIM-এর আর কিছু হওয়ার নেই বলেও কটাক্ষ করেছেন তাঁরা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, “বামেরা শেষ হয়ে গিয়েছে, ওদের নতুন করে আর কিছুই হবে না। মাঝে মধ্যে এরকম ২-১টি খবর পাবেন শুধু। যাঁরা যোগদান করেছে তাঁদের অনেক আগেই দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই যোগদানে তৃণমূলের মধ্যে কোনও ছাপ ফেলবে না।” শাসকদল যাই বলুক না কেন, এই ঘটনাকে ঘিরে ধীরে ধীরে নিজেদের ছাপ আবার শাসনে ফেলতে চাইছে বাম শিবির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *