তিনি সেই মোতাবেক সমস্ত রিপোর্ট জমা দেন DI, জেলাশাসক ও ডিপিএসসি-র কাছে। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রাক্তন টিআইসি জ্যোৎস্নারানী শীল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে ও বর্তমানে ছাত্রীদের ঠিকমত পড়াশোনা করানো হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে আজ বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা।
অভিযোগ বিদ্যালয়ে আসলেও ঠিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করান না এই শিক্ষিকা। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিভাবকরা চাইছেন শিক্ষা দফতর দ্রুততার সঙ্গে এই শিক্ষিকার বদলি করুক অন্যত্র। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১ টা বাজলেও গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় থাকেন ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ে এসেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন টিআইসি জ্যোৎস্নারানী শীল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমার বিরুদ্ধে আগেও চাল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করেও তা প্রমানিত হয়নি। তাই এখন এই সমস্ত অবাস্তব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”
যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পরেই দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের দফতরে ডেকে পাঠালেন চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার। এবং তাঁর কাজে গাফিলতি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন বিক্ষোভরত এক অভিভাবক ফিরোজ মোল্লা জানান, “ওই শিক্ষিকা ছাত্রীদের একেবারেই ভালো শিক্ষা দেন না। ঠিকঠাক ক্লাস নেন না। আমাদের মেয়েরা অনেকদিন ধরেই ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিল। শেষমেশ আমরা বাধ্য হই স্কুলে আসতে ও বিক্ষোভ দেখাতে। আমাদের দাবি জ্যোৎস্নারানী শীল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, ও তাঁকে এই স্কুল থেকে ট্রান্সফার করে দিতে হবে। তবেই আমরা আন্দোলন থামাবো।
সাউথ কাজীপাড়া প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বর্তমান টিআইসি শেখ আব্দুল আলিম বলেন, “অভিভাবকদের কিছু দাবি রয়েছে। সেই জন্য ওনারা আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে স্কুলে তালা মেরে দেওয়া ঠিক নয়।”