কিন্তু ভবি ভোলার নয়। ফের জঙ্গল ছেড়ে শনিবার সে তাণ্ডব চালায় আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের পলাশবাড়ি এলাকায়। খনিকের জন্যে সে ঢুকে পড়েছিল কোচবিহারেও। ওই দাঁতালের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে দু’জন ভর্তি হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। শেষে ঘুমপাড়ানি গুলিতে ফের ওই দামাল দাঁতালকে কাবু করে জঙ্গলে ফেরাতে বাধ্য হয় বনদপ্তর।
তবে কতদিন সে অত্যাচার ভুলে জঙ্গলের পরিবেশে আটকে থাকবে, তাই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বনদপ্তর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রবীন কাসোয়ান বলেন, ‘সর্বক্ষণ নজরে রেখেও হাতিটির লোকালয়ে চলে আসার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে বেগ পেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। তবে আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছি না।’
শনিবার সাতসকালে আচমকাই পলাশবাড়ির লোকালয়ে দেখা মেলে ওই দাঁতালের। গলায় রেডিও কলার দেখা মাত্রই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। চরম আতঙ্কের মধ্যেও তাঁরা বনদপ্তরে খবর দেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জলদাপাড়া, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও কোচবিহার বনবিভাগের বনকর্মীদের একটি বিশাল দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। মানুষের ভিড় সামলাতে ছুটে আসে পুলিশ বাহিনীও।
ততক্ষণে অবশ্য পলাশবাড়ী ও কোচবিহারের দু’জনকে ঘায়েল করেছে ওই দাঁতাল। পরিস্থিতি ক্রমশই ঘোরালো হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাগে আনতে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত নেন বনকর্তারা। কাবু হওয়ার পর তাকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয় পে-লোডার ও ১৬ চাকার লরি। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বাগে আসে দলমার দামাল। গলায় পরানো রেডিও কলার ও হাতিটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ফের শনিবার বিকেলে তাকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।