রাতে বাগানের ফ্যাক্টরিতে বিদুৎতের তার সারাইয়ের কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় হঠাৎই ইলেকট্রিক শক লেগে সেখানেই তার দেহ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয় শ্রমিকরা। সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে যায় গোটা কারখানা চত্বর জুড়ে। বাগানের অন্যান্য কর্মীরা তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেতেই জয়গাঁ থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে এবং লতাবাড়ি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লতাবাড়ি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় বরাত পাওয়া ঠিকাদারের দায়িত্ব নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা চা বাগান জুড়ে। শ্রমিকদের কাজের সময়কালীন সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কিনা, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। শ্রমিকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই আলিপুরদুয়ার জেলায় চা বাগানে কাজ করার সময় বন্য প্রাণীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে মাঝেমধ্যেই। হাতি, চিতা বাঘের আক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেই কাজ করতে হয় তাঁদের। বন্য প্রানীদের আক্রমণের মুখে পড়ে অনেক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেই চিতাবাঘের হানায় জখম হলেন এক চা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানে।
আহতকে শ্রমিককে বাকিরা উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা যায়, জখম ওই চা শ্রমিকের নাম টিকে থোকর। ঘটনার দিন বিকেলে টিকে নামের ওই ব্যক্তি চা বাগানে কাজ করছিলেন। আচমকাই তাঁর উপরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ।
এর আগে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট থানার মুজনাই চা বাগানের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতার নাম মালো গঞ্জু। তিনি চা বাগানের ৫ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। ম্যানেজারের বাংলো থেকে ঘরে ফিরছিলেন ওই শ্রমিক। সেই সময় একটি হাতি তাঁর উপর আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বনদফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ সূত্রে জানানো হয়, মৃতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।