ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, বেহালার রায় বাহাদুর রোডের বাসিন্দা সৌভিক প্রামাণিক৷ বেহালা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে৷ আজ সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ইসলামিয়া মাঠে ফুটবল খেলছিল সে ৷ ফুটবল খেলার পর বন্ধুদের সঙ্গেই সবাই মিলে অরবিন্দ পল্লীর পুকুরে স্বান করতে নামে৷ এর আগেও তাঁরা এখানে স্নান করেছে বলে খবর৷ সাঁতারও জানত সৌভিক৷ তারপরেও কী করে সে ডুবে গেল তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷
এদিন জলে নামার পর হঠাৎ তলিয়ে যায় সৌভিক। সঙ্গে থাকা বন্ধুরাই তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে৷ তারাই তাঁকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে৷ তখনই অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল সৌভিক৷ সেখান থেকে তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুটি বন্ধু মিলে সৌভিককে জল থেকে তুলে আনে। সৌভিকের মুখ থেকে উগরে কিছুটা জল ও বমি বের হয় বলে দাবি। ততক্ষণে সৌভিকের শরীর অনেকটা নেতিয়ে যায়। পাশ থেকেই একটি গাড়ি যাওয়ার সময় সেটিকে নিয়ে সৌভিককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সৌভিক প্রামাণিক নামে ওই যুবকের এক আত্মীয় বলেন, “আমাদের খবর দেওয়া হল, ওঁর দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপরেই আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি। এসে দেখি এই অবস্থা।” ঘটনায় ভেঙে পড়েছে সৌভিকের গোটা পরিবার। সাঁতার জানলেও কী করে এরকম ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও।