জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চিনপাই পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা শেখ রহিম, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। পরের দিন বিষয়টি গ্রামবাসীদের জানানো হয়।
তাই ২৮ এপ্রিল, শুক্রবার বিকেল বেলায় শেখ রহিম নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সদাইপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। পরের দিন তাঁকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনপাই পঞ্চায়েত এলাকার ক্যানেল পাড়ে একটি ঘর দখল করে রয়েছে শেখ রহিম।
আর সেখানে সে গাঁজা, মদ সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। এমনকী কয়েকমাস আগে ওই গ্রামেরই এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা ও কটুক্তি করেছিলেন। এই বিষয়ে চিনপাই অঞ্চল তৃণমূল কোর কমিটিকে জানানো হয়েছিল। কারন ওই শেখ রহিম তৃণমূল কর্মী। তাঁকে ধমকও দেওয়া হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে।
কিন্তু তাঁকে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সদাইপুর থানার পুলিশ। তাই আজ দিশম আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি, গ্রামে পুলিশি টহলদারি এবং ক্যানেল পাড়ের ওই ফাঁকা বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে সদাইপুর থানার আধিকারিকের কাছে দরবার করা হয় বলে জানান দিশম আদিবাসী গাঁওতার দুবরাজপুর ব্লক সম্পাদক সুকুমার সরেন।
তিনি বলেন, “ওই লোকটি এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত। যখন ঘটনাটি হয়েছিল সেই সময় ওই পরিবারের লোকজন লজ্জা ও ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। আক্রন ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সব জানতে পারি। তাই ওই শেখ রহিমের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।”