মঞ্চের তরফ থেকে এদিন সকলেই বোলপুরের শিবপুর মৌজায় নবনির্মিত রাজ্য সরকারের আবাসন প্রকল্পের বিরোধীতা করে, শিল্পের পক্ষে সওয়াল করেন। ২০০০ সালে বাম সরকার বোলপুরের তৎকালীন সংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় থাকাকালীন বোলপুরের শিবপুর মৌজায় ৩০০ জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পের জন্য।
জমিদাতা কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ভারী শিল্প হবে। জমির ন্যায্য মূল্য পাবে কৃষকরা। পাশাপাশি জমিদাতা পরিবারের একজন করে চাকরিও দেওয়া হবে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ভারী শিল্প করার।
বলা হয়েছিল জমির ন্যায্য মূল্যের পাশাপাশি পরিবার কিছু একজনের চাকরি হবে। ভারী শিল্প হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে স্থানীয় মানুষদের। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা হয়নি। উপরন্তু ওই ৩০০ একর বিতর্কিত জমির উপর নির্মাণ হয়েছে গীতবিতান টাউনশিপ। আবাসন প্রকল্প।
বাকি জমিতে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার। তার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। শিবপুর মৌজায় এদিন প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে সকলের দাবি, শিল্পর নামে নেওয়া জমিতে শিল্প করতে হবে। না হলে জমি ফেরত দিক সরকার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, “প্রতিদিন রাজ্য তথা দেশজুড়ে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। চাষে আয় নেই, রোজগার হচ্ছে না। তাই শিল্প করতে হবে, মানুষের হাতে কাজ দিতে হবে। চুরি করলে জেল যেতে হবে।”
রাজ্যে BJP তৃণমূল আতাঁত, অভিষেকের একের পর এক সভা এই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী বলেন, “লড়াই করার কিছু নেই, চুরি করছে জেলে যাবে।” অভিষেক প্রসঙ্গে মন্তব্য মীনাক্ষী মুখার্জির। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নাম না করে অনুব্রতকে বিঁধে বলেন, “যে বাঘ মানুষ খায়, তাঁর চামড়া খুলে ঝুলিয়ে দেবে জন সাধারণ।”
সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা মীনাক্ষীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বীরভূমে বাঘ যাকে বলা হয়, তাঁর কথাই বলেছি। যদি অনুব্রত মণ্ডল মানুষ খেকো বাঘ হয়, তাহলে আমি তাকেই বলেছি। আর অনুব্রত মণ্ডল কি আইন নাকি? আইন তো নয়। বীরভূমের পুলিশমন্ত্রী তাঁকে বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আর এটা তাঁকে বানিয়েছিলেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”