নির্বাচনে জয়ের পর বামেদের বক্তব্য, এই রায় তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে রায়। অন্য দিকে, শাসকদলের দাবি, বাম আমল থেকে কায়দা করে সমবায় সমিতিগুলি দখল করেছে রেখেছে CPIM। এই সমবায়ে ভোটার সংখ্যা ১,৭৩৪ জন।
সমবায় সূত্রে খবর, CPIM ও তৃণমূলের দ্বিমুখী লড়াই ছিল এই সমিতিতে। BJP একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, BJP ও CPIM এক হয়ে এই নির্বাচনে লড়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায় বলেন, “BJP আর CPIM জুটি বেঁধে লড়েছে। এই ফল পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।” তৃণমূলের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ CPIM। দলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, “এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মতামত।
এই জয় পঞ্চায়েতের পূর্বাভাস।”
BJP-র অবশ্য দাবি, তারা এই নির্বাচন নিয়ে ভাবিত নয়। দলের নদিয়া উত্তরের জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “আমাদের পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই ফলাফল পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চারমাস আগে তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতিতে প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল। সমবায় সমিতির নির্বাচনে দারুণ জয় পায় CPIM। নদিয়ার তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতিতে সবকটি আসনই CPIM জিতে নেয়। ৪৯ আসনের এই সমবায়ে নির্বাচনে সবকটি আসনে শুধু প্রার্থী ছিল CPIM-র।
বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন CPIM প্রার্থীরা। এই সমস্ত নির্বাচনের ফলাফল দেখে ফের CPIM নেতারা আশায় বুক বাঁধছেন। নদিয়া জেলার এক শীর্ষস্তরের বাম নেতা জানিয়েছেন, “তৃণমূলের দুর্নীতিতে মানুষ বিরক্ত ক্ষুব্ধ। আর BJP বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তাই মানুষ আবার বামেদেরই চাইছেন। জেলার দুটি সমবায় নির্বাচনের ফল চার মাসের মধ্যে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বামেরা ভালো আসন পাবে।”