প্রবল ঝড় বৃষ্টির দুর্যোগ শুরু হতেই সভা স্থল ছেড়ে যে যার নিজের নিজের মত করে আশ্রয় নেয়। অনেকেই আশ্রয় নেয় গাছের তলায়। সভাস্থলের কাছেই একটি বড় বটগাছে বাজ পড়ে। সেই গাছের তলায় থাকা প্রত্যেকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তড়িঘড়ি শুরু হয় চিকিৎসা।
পরে সেখানে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের নাম সামেদ মল্লিক। বয়স ৩৬। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ ছাড়িয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
মৃত সামেদ মল্লিকের দাদা জানান, ”মিটিং শুনতে যাবে বলে এদিন তড়িঘড়ি ধান গোছাচ্ছিল। আকাশে মেঘ দেখে আমাকে আর ওর স্ত্রীকে বাকি ধান গুছোতে বলে মিটিংয়ে চলে যায়। তারপরেই শুরু হয়ে যায় ঝড়জল। খেয়ে ওঠার পর বাড়ির বাইরে এসে দেখি সবাই কাঁদছে। তখন শুনি মিটিংয়ের মাঠে বটগাছে বাজ পড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে এসে ওর মৃত্যুর খবর পাই। আমার আরেক ভাইপোও বাজে আহত। ওর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।”
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুঃখিত তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ”খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বাজ পড়ে আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনায় সবাই উৎসাহ নিয়ে সভায় এসেছিলেন। ঘটনায় আহত আরও অনেকে। ঘটনাটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতানেত্রীরা গাড়িতে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে কী যে হয়ে গেল! হঠাৎ আকাশ কালো করে এসে বৃষ্টি শুরু হল। তারপরই এই বাজ।” আগামীকাল সোমবার আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু বলে জানিয়েছেন।
শুধু বাঁকুড়ায় নয়, এদিন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রপাত সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে একাধিক জেলা থেকে শিলাবৃষ্টিরও খবর এসেছে।