জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদেরই দুই এজেন্টের পাল্লায় পড়ে ‘জাল’ ভিসা নিয়ে ওই তিন যুবক কুয়ালালামপুর শহরে ঢোকেন। কিন্তু রাস্তায় নামলেই পুলিশ ধরে জেলে নিয়ে যাবে এই ভয়ে, আশঙ্কায় এক বাড়িতে প্রায় ‘বন্দি’ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে জানিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের বক্তব্য, “এজেন্ট আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। কাজ নেই, খেতে পাচ্ছিনা, শহরে বেরোতে পারছি না।” এই খবর পেয়েই শনিবার সকালে বড়ঞা থানায় যান শিফনের বাবা রিটন শেখ (৫০)। সেখানেই ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তাছাড়া ভিডিয়ো বার্তায় হাসিরুল শেখ জানায়, “গত ২৬ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার দুই এজেন্ট লাল মাস্টার ওরফে নুরুল ইসলাম শেখ এবং রাকিব শেখের সাহায্যে আমরা ব্যাঙ্ককে গিয়ে পৌঁছই। সেখানে কিছুদিন থাকার পর আরও দু’জন এজেন্টের সাহায্যে নৌকা করে বেআইনিভাবে কুয়ালালামপুর শহরে ঢুকি।
কিন্তু সেখানে পৌঁছে আমরা জানতে পারি এজেন্টরা আমাদের হাতে ‘জাল’ ভিসা তুলে দিয়েছে।”
হাসিরুল জানান, “ভারত থেকে বিদেশে আসার সময় ওই এজেন্টদের আমরা প্রত্যেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।” এই খবর পাওয়ার পরে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ তিন যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে। রবিবার মালয়েশিয়ায় বন্দি যুবকদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে এজেন্টের সঙ্গে একটা মিমাংসা করেন বড়ঞা থানার OC।
তিনি বলেন, “আজ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই যুবকদের কথা অনুয়ায়ী কাজ দিতে হবে নয়তো তাদের ফেরত আনতে হবে এবং যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” এরই মাঝে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সকলেই চাইছেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক।