দেবব্রত ঘোষ: ‘একটু জায়গা দাও মা তোমার মন্দিরে বসি’! তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? ‘আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই’, বললেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
একুশের বিধানসভায় তখন দোরগোড়ায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে! সেই তালিকায় ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, দলবদলের পর ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন! কিন্তু নিজের পুরনো কেন্দ্র হাওড়া ডোমজুড়ে থেকেই হেরে যান তিনি।
তখন বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় ফের ক্ষমতা ফিরেছে তৃণমূল। কিন্তু রাজীব যখন পুরনো দলে ফেরার চেষ্টা করেন, তখন আপত্তি উঠে তৃণমূলের তৃণমূলের অন্দরেই। শেষপর্যন্ত অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বে সম্মতিতেই ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। এখন ত্রিপুরায় তৃণমূল ইনচার্জ রাজীব।
আরও পড়ুন: Abdul Karim Chowdhury: দিনভর অপেক্ষাই সার! এলেন না অভিষেক, ‘আশাহত’ তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী
একসময়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন, সেই ডোমজুড়েই এদিন দলের কর্মসম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, মাথা নোয়াতেই হয়েছে, সেই তৃণমূলের কাছে এসে মাথায় নোয়াতে হয়েছে। বলতে হয়েছে, একটু জায়গা দাও মা তোমার মন্দিরে বসি’। শুধু তাই নয়, সাংসদ কথায় রীতিমতো উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূলকর্মীরাও।
নাম না করে রাজীবকেই কি নিশানা করলেন কল্যাণ? রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে কী বলেছেন, আমি শুনিনি। তবে আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আমার সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করি। সেই লড়াই শেষদিন পর্যন্ত চলবে’। তাঁর আরও বক্তব্য়, রাজীব, ২০২১ দলের দুঃসময়ে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সে দলে এসেছে। দল তাঁকে গ্রহণ করেছে। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে’।